এপ্রিলের শেষেই ভারতে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর (Borish Johnson) ভারত সফর বাতিল হওয়ার পর তাঁর অফিস জানিয়েছিল, জুনের জি-৭ সামিটের আগেই ভারতে আসবেন বরিস।

এপ্রিলের শেষেই ভারতে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 16, 2021 | 10:28 AM

লন্ডন: এপ্রিলের শেষেই ভারতে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে যাওয়ার পর বরিসের প্রথম কোনও বড় বিদেশ সফর। প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতের প্রধান অতিথি হয়ে আসার কথা ছিল বরিসের, কিন্তু সে দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির লালকেল্লায় দেখা যায়নি বরিসকে। তবে এ বার প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলের শেষেই ভারতে আসছেন তিনি।

প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল হওয়ার পর তাঁর অফিস জানিয়েছিল, জুনের জি-৭ সামিটের আগেই ভারতে আসবেন বরিস। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিশ্ব রাজনীতির বৃহৎ অংশ হয়ে উঠেছে। তাই এই সফরে আগামীর জন্য নীতি নির্ধারণ করবেন বরিস জনসন।

জুন মাসে ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত হবে জি৭ সামিট। সেই বৈঠকে অতিথি হিসাবে ডাক পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বিশ্বের একাধিক দেশ সামিল হবে এই সামিটে। মহামারী, জলবায়ু সমস্যা ও বিনা শুল্কে ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা হবে ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, আমেরিকার মধ্যে। সেই বৈঠকেই অতিথি হিসাবে নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রনায়কও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ অন্যান্য রাষ্ট্রনায়কদের কাছ থেকে করোনা পরবর্তী সময়ে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হবে। আমন্ত্রণের বিবৃতিতে ভারতকে ‘ফার্মাসি অব দ্য ওয়ার্ল্ডের’ তকমা দিয়েছিলেন বরিস। করোনা সমস্যা সমাধানে ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেছিল ব্রিটিশ প্রশাসন। তাদের তরফে এ-ও জানানো হয়েছিল, প্রজাতন্ত্র দিবসে বরিস জনসন ভারতে না যেতে পারলেও জি৭ সামিটের আগেই ভারত সফরে আসবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সেই মতোই এপ্রিলের শেষের দিকে ভারতে আসতে চলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

আরও পড়ুন: ‘বর্ণবিদ্বেষ থেকে আমরা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেব না কখনও’, ব্রিটেনকে বার্তা কেন্দ্রের