‘বর্ণবিদ্বেষ থেকে আমরা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেব না কখনও’, ব্রিটেনকে বার্তা কেন্দ্রের
কিছুদিন আগে কিন্তু ইউকে পার্লামেন্টে বিতর্কের ঝড় ওঠে ভারতের কৃষি আইন (Farm Law) ঘিরেই।
নয়া দিল্লি: কয়েক দিন আগেই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কৃষি আইন নিয়ে বিতর্কে প্রসঙ্গে ওঠায় তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভারত। এবার বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বার্তা দিল কেন্দ্র। অক্সফোর্ডের (Oxford) ২২ বছরের রশ্মির সঙ্গে যে ঘটনা ঘটে, তা নিয়েই এ দিন রাজ্যসভায় বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর (Jaishankar) বলেন, ব্রিটেনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।
গোটা বিষয়ে ভারত যে পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে, সে আশ্বাস দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ব্রিটেনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মজবুত। প্রয়োজনে এই বিষয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, বর্ণবৈষম্যই হোক বা অন্য কোনও অসহিষ্ণুতা, আমরা সর্বদাই তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।
সম্প্রতি, অক্সফোর্ডের ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পরই রশ্মির বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ ওঠো। তার জেরেই সভাপতি হওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই ইস্তফা দেন রশ্মি। সেই প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওড়িশার বিজেপি সাংসদ অশ্বিনী বৈষ্ণব। এরপরই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। বলেন, মহাত্মা গান্ধীর দেশে আমরা কখনই বর্ণবৈষম্য থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে পারি না।
কিছুদিন আগে কিন্তু ইউকে পার্লামেন্টে বিতর্কের ঝড় ওঠে কৃষি আইন ঘিরেই। সঙ্গে ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হয়। আর সেই বিতর্কের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। সেই বিতর্ককে একপেশে বলে উল্লেখ করে কড়া বার্তা দিল ভারত।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হলে ৯০ মিনিট রাখা হয়েছিল ওই বিতর্কের জন্য। ১৭ থেকে ১৮ জন ব্রিটিশ সাংসদ সেই বিতর্কে ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে। আর সেই বিতর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সরব হয় ভারত। লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ওই বিতর্কে অংশ নিয়েছিল লেবার ও কনজারভেটিভ দুই দলের সদস্যরাই। দু’পক্ষেরই মত, ভারতে কৃষকদের প্রতি অবিচার হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এমনকি ভারতে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা হয়েছে। সমাজকর্মীদের আটক করা হয় বলেই উল্লেখ করেছেন ওই ব্রিটিশ সাংসদরা। ব্রিটিশ লেবার পার্টির সংসদ জারেমি কোরবাইনের দাবি, ভারতে কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ২৫০ মিলিয়ন মানুষ। এই বিতর্কে ছিলেন জন্মসূত্রে পাক অধিকৃত কাশ্মীরি সাংসদ তাহির আলি। তাঁর দাবি, ইউকে সরকারের উচিত ভারতের নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিত।
ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে সাধারণত, ইউকে পার্লামেন্টে আলোচিত কোনও বিষয় নিয়ে ভারতের তরফে মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যেহেতু আলোচনার বিষয়-বস্তু ভারত, তাই এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে।