Recruitment scam verdict: সরকারি স্কুলের একমাত্র শিক্ষক, চলে গেলেন তিনিও, পড়ুয়াদের পড়াবেন এখন Group D কর্মী!
Hooghly: এই অবস্থায় কীভাবে সামাল দেওয়া হবে? এইসবের মধ্যেই দেখা গেল একটি স্কুলে একজন স্কুল শিক্ষক ছিল। সেও গেল। আর কোনও শিক্ষক নেই। ফলত, গ্রুপ-ডি এক কর্মীর হাতেই এবার দায়িত্ব গোটা স্কুলের।

খানাকুল (হুগলি): আশঙ্কা ছিল একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষত-শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় প্রভাব পড়বে না বাংলার স্কুলগুলিতে? তারপর মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখা এখনও বাকি রয়েছে। এই অবস্থায় কীভাবে সামাল দেওয়া হবে? এইসবের মধ্যেই দেখা গেল হুগলির একটি স্কুলে একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। সুপ্রিম নির্দেশের পর চলে গেল তাঁর চাকরিও। আর কোনও শিক্ষক নেই সংশ্লিষ্ট ওই স্কুলে। ফলত, গ্রুপ-ডি (Group D) এক কর্মীর হাতেই এবার দায়িত্ব গোটা স্কুলের।
আরামবাগের খানাকুলের গুজরাট জুনিয়র হাই স্কুল। সেখানেই সুপ্রিম রায়ে একমাত্র শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে অভিজিৎ পালুইয়ের। তিনি এই স্কুলের TIC ছিলেন। তাঁর হাতেই যাবতীয় দায়িত্ব ছিলেন। স্কুলে মোট পড়ুয়া চল্লিশ জন। চাকরি চলে যাওয়ার খবরে শিক্ষক ভেঙে পড়লেও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে বিদ্যালয়ে এসে পরীক্ষা নিচ্ছেন। যদিও এখনো ডিআই, এডিআই অফিস থেকে তিনি কোনও চিঠি পাননি। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তিনি যোগ্য। তার ওএমআর সিট ও রেজাল্ট ভাল এই ব্যাপারে। আগামী ৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠকে যাবেন।
তবে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সরকার যদি হাইকোর্টের রায়টিকে মান্যতা দিত, তাহলে ২৬ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ত না। চাকরিহারা শিক্ষক অভিজিৎ পালুই বলেন, “এই পরিস্থিতিতে দাঁড়াব ভাবিনি। আমরা শুধু চাইছি কোনওভাবে বাঁচতে। আমার গ্রামে আমি ভাল ছেলে। আমি কোনও দিন সেকেন্ড হইনি। কাকে দোষ দেব বলুন তো? আমার বাড়িতে তিন বছরের ছেলে আছে। বৃদ্ধ বাবা আছে…মাথা উঁচু করে এত চাকরি করেছি। যাঁরা দোষ করল তাঁদের সাথে নির্দোষদের বলি দিল। পরিবার খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। এবার কীহবে জানি না। বুঝতে পারছি না মাইনে পাব না। আমি এই স্কুলের এক মাত্র শিক্ষক। স্কুলের টিআইসি আমি। ব্লকে যাওয়া, মিড ডে মিল সামলানো সবটাই করছি। এখন যদি না আসি…জানি না কী হাল হবে।” শিক্ষা কর্মী মৃণাল সাঁতরা বলেন, “কী হবে বুঝতে পারছি না। মিড-ডে মিলে আমি আর টিআইসি সই করে টাকা তুলব। ছেলেদের পড়াবে কে? আমি তো পড়ানোর লোক নই।”





