Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Recruitment Scam:’আমার মনের কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব, সঙ্গে আরও কিছু জানাব…’, বললেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়া শান্তনু

Shantanu Banerjee: বুধবার হুগলি জেলা পরিষদে হাজির হন শান্তনু। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগে শেষবার জেলা পরিষদে এসেছিলেন। তখন তিনি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর প্রায় দু'বছর দিন কেটেছে জেলে।

Recruitment Scam:'আমার মনের কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব, সঙ্গে আরও কিছু জানাব...', বললেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়া শান্তনু
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2025 | 8:44 PM

বলাগড়: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই সময়ই তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে সদ্য জামিনে মুক্ত হয়েছেন তিনি। আর তারপরই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা জানালেন, দলে ফেরার জন্য তিনি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করবেন।

বুধবার হুগলি জেলা পরিষদে হাজির হন শান্তনু। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার আগে শেষবার জেলা পরিষদে এসেছিলেন। তখন তিনি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এরপর প্রায় দু’বছর দিন কেটেছে জেলে।

আজ বিকালে তাঁর পুরোনো কাজের জায়গায় হঠাৎ হাজির হন শান্তনু। জেলা পরিষদের সদস্য থাকার সময় তাঁর নিজের ব্লক বলাগড়ে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা ছিল। সেগুলো হয়নি বলে জানান তিনি। বলাগড়ে বৈদ্যুতিক চুল্লির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি বলেও দাবি করেন। একই সঙ্গে আর্সেনিক প্রবণ বলাগড়ে আর্সেনিক মুক্ত ১১টি জল প্রকল্প হওয়ার কথা থাকলেও একটিও হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। গ্রামের রাস্তার কাজ টেন্ডার প্রসেস হলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি।সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে আসেন।

এ দিন, জেলা পরিষদে প্রবেশ করার সময় শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। এরপর করমর্দন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে জেলা পরিষদের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কয়েকজন সদস্যের সঙ্গেও দেখা করেন। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিয়োগ এসেছে। আমায় বহিষ্কার করেছে। এটা কোনও ম্যাটার করে না। আজ আমি অভিযুক্ত। এখনো আমার বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ হয়নি। অনেকে এরকম অভিযুক্ত আছে। তারাও মূল স্রোতে ফিরে এসেছে। দলের জন্যই বেঁচে থাকা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেতা। তাঁকে আমি লিখিতভাবে আবেদন করব। দলে ফেরার আবেদন যেমন থাকবে, পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় তাঁকে জানানোর আছে। আমি আমার মনের কথা বলব তাঁকে।” শান্তনু আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেখেই চলে। তাঁর ছবি সরিয়ে নিলে কোনও নেতার মূল্য নেই।”

জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা জানান, ঠবলাগড়ে যে কাজগুলো বাকি আছে সেগুলো দেখে করা হবে।” শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি সিঁড়ি দিয়ে নামছি। উনি ঢুকছেন। এমন সময় দেখা। সৌজন্য সাক্ষাৎ হল। দল সংক্রান্ত কোনও কথা হয়নি। ব্যক্তিগতভাবে সৌজন্য বিনিময় হয়েছে।”