Bathinda firing: ইনসাস রাইফেল ও কুড়ুল নিয়েই ঘুমন্ত জওয়ানদের উপর হামলা: সেনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Apr 12, 2023 | 11:53 PM

Bathinda military station firing: বুধবার (১২ এপ্রিল) পঞ্জাবের ভাতিন্ডার সামরিক ঘাঁটিতে ইনসাস রাইফেল এবং কুড়ুল নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করা হয় চার সেনা জওয়ানকে।

Bathinda firing: ইনসাস রাইফেল ও কুড়ুল নিয়েই ঘুমন্ত জওয়ানদের উপর হামলা: সেনা
হামলার পরই ঘিরে ফেলা হয় পুরো এলাকা

Follow Us

নয়া দিল্লি: বুধবার (১২ এপ্রিল) পঞ্জাবের ভাতিন্ডায় এক সামরিক ঘাঁটিতে আচমকা হামলায় চার সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেনার পক্ষ থেকে এক মেজর ব়্যাঙ্কের অফিসার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগে বলা হয়েছে, কুর্তা-পায়জামা পরা দুই অজ্ঞাত পরিচয় মুখোশধারী ব্যক্তিকে এদিন ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ওই সেনা ঘাঁটির কাছে দেখা গিয়েছিল। একটি জঙ্গলের দিকে তাদের দৌড়ে পালাতে দেখা গিয়েছে। মুখোশধারীদের একজনের হাতে ছিল একটি ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল, অন্যজনের হাতে ছিল একটি কুড়ুল। ঘটনার পর, সেনাবাহিনীর এক অনুসন্ধানকারী দল, ওই ইনসাস রাইফেল এবং কিছু তাজা কার্তুজ খুঁজে পেয়েছে। পঞ্জাব পুলিশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ দল অস্ত্রগুলির ফরেনসিক বিশ্লেষণ করবে।

এদিনের গোলাগুলিতে যে চার জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন গোলন্দাজ বাহিনীর সদস্য। বয়স ২০-র ঘরে। ঘটনার সময় তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থাতেই তাঁদের উপর কাপুরুষোচিত হামলা হয়। দুদিন আগেই ওই ঘাঁটি থেকে একটি ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল এবং কিছু গোলাবারুদ খোয়া গিয়েছিল। সেনার তদন্তকারীদের অনুমান সেই খোয়া যাওয়া ইনসাস রাইফেলটি নিয়েই হামলা চালানো হয়েছে। ফরেনসিক বিশ্লেষণের পরই এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এই ঘটনায় যোগ আছে সন্দেহে কাউকে আটকও করা হয়নি বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে পঞ্জাব পুলিশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ওই সামরিক ঘাঁটি থেকে ১৯টি কার্তুজের খোল উদ্ধার করা হয়েছে। ভাতিন্দার এসপি (তদন্ত) অজয় গান্ধী বলেছেন, “চার জওয়ান যখন তাদের ব্যারাকে ঘুমাচ্ছিলেন তখন তাঁদের উপর হামলা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনও যোগ নেই বলেই মনে করছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্তাধীন। আমরা আরও তদন্তের জন্য সামরিক ঘাঁটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছি।” বুধবার সকালের ঘটনার পরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে হামলাকারীদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছিল। সেই অভিযান এখনও জারি আছে।

Next Article