নয়া দিল্লি: রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বুধবার সেই মামলায় বদল হল বেঞ্চ। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি জয়রাম ভাম্বানির বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। শুনানির শুরুতেই আইনজীবী কপিল সিব্বল আবেদন জানান, যাতে মামলা বিচারপতি যশমিত সিং-এর বেঞ্চে পাঠানো হয়। সেই আর্জিতে সায় দিয়েছেন বিচারপতি ভাম্বানি। বিচারপতি যশমীত সিং-এর বেঞ্চে বুধবারই সেই মামলার শুনানি হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
এর আগেই অনুব্রত সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি যশমীত সিং-এর বেঞ্চে সরানোর আবেদন জানিয়েছেন কপিল সিব্বল। গরু পাচার মামলায় রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলা ওঠে বিচারপতি যশমীত সিং-এর বেঞ্চে। শুধু তাই নয়, সায়গল হোসেন বা বিনয় মিশ্রের গরু পাচার সংক্রান্ত মামলাও ওই বিচারপতি সিং-এর বেঞ্চে চলছে বলে দাবি করেই বেঞ্চ পরিবর্তনের আর্জি জানান সিব্বল। সেই আর্জি মেনে নেন বিচারপতি ভাম্বানি।
গরু পাচার মামলায় জেরা করতে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। বুধবার সকালে ছিল সেই মামলার শুনানি। এই মামলার ওপর নির্ভর করছে, অনুব্রতকে দিল্লি যেতে হবে কি না।
এদিকে, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট সোমবার নির্দেশ দেওয়ার পর মঙ্গলবারই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিল ইডি। কিন্তু এক পুরনো মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবারই তাঁকে আসানসোল জেল থেকে নিয়ে দুবরাজপুর থানায় যায় পুলিশ। দুবরাজপুর আদালতের নির্দেশে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন অনুব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে গলা টিপে ধরার অভিযোগ উঠেছে। আইনজীবীদের মতে, পুলিশ হেফাজত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইডি দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না অনুব্রতকে। পুলিশ হেফাজত শেষ হলে ইডি অনুব্রতকে নিয়ে যেতে ফের আবেদন জানাতে পারবে আদালতে।