Anurag Thakur: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তির কথা বলছেন, অথচ অশান্তির শিকার দুই বিরোধী শাসিত রাজ্য: অনুরাগ ঠাকুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Apr 04, 2023 | 6:00 PM

Anurag Thakur on World Peace: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন বিশ্ব শান্তির আহ্বান জানাচ্ছেন, সেই একই সময়ে দেশেরই দুই রাজ্য উৎসবের আবহে হিংসা ও বিশৃঙ্খলার শিকার হচ্ছে। মঙ্গলবার, বাংলা ও বিহারের সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

Anurag Thakur: প্রধানমন্ত্রী বিশ্বশান্তির কথা বলছেন, অথচ অশান্তির শিকার দুই বিরোধী শাসিত রাজ্য: অনুরাগ ঠাকুর
বাংলা এবং বিহারের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (ফাইল ছবি)

Follow Us

নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্ব শান্তির আহ্বান জানাচ্ছেন। গোটা বিশ্বকে তিনি বলছেন, এটি যুদ্ধের সময় নয়। আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত বিরোধ মেটানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু, একই সময়ে দেশেরই দুই রাজ্য উৎসবের আবহে হিংসা ও বিশৃঙ্খলার শিকার হচ্ছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল), মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে অহিংস বিশ্ব ভাতি সংস্থা এবং ওয়ার্ল্ড পিস সেন্টার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, বাংলা এবং বিহারের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “মোদীজি সারা বিশ্বকে বলছেন যে ‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়। এটি গণতান্ত্রিক আলোচনার সময়। কিন্তু ভারতে দুই মুখ্যমন্ত্রী পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য করছেন। সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনাগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, সেগুলি সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করার জন্য সাজানো হয়েছিল কিনা।”

অনুরাগ ঠাকুর আরও জানান, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য অশান্তি ছড়ানো দেশের বৃহত্তর কল্যাণের পরিপন্থী এবং এই অবস্থা চলতে থাকলে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়। এদিন তাঁর ভাষণে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এক বিশেষ সম্প্রদায়কে কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় মিছিল করতে নিষেধ করেছেন। অনুরাগ ঠাকুর প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, “তিনি কি সমাজকে বিভক্ত করছেন না?” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “বর্তমানে বিশ্বের দুটি দেশ এক সামরিক সংঘাতে জড়িত। কিন্তু এটি একটা ভিন্ন সমস্যা। আমাদের দেশে, শুধুমাত্র বিহার এবং বাংলায় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কেউ শান্তিতে ধর্মীয় মিছিলও বের করতে পারে না।”


এদিকে, গত বৃহস্পতিবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ব্যাপক হিংসার প্রেক্ষিতে এই দুই রাজ্যের কিছু কিছু অংশে ফৌজদারি বিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই হিংসা নিয়ে বিজেপি এবং বিজেপি বিরোধী দলগুলির মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও চলছে। এর আগেই অনুরাগ ঠাকুরের অভিযোগ করেছিলেন, বাংলার বিভিন্ন এলাকায় যখন উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, সেই সময় ‘নিরব দর্শকের’ ভূমিকায় বাংলার সরকার। উত্তেজনা প্রশমনে রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়াকে ‘লজ্জাজনক’ বলেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, “পাথর ছোড়া, অগ্নিসংযোগ, বোমা নিক্ষেপ – এই সব বাংলায় এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যেভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়েছে এবং পাথর ছোড়া হয়েছে, তার চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। সাংবাদিকদের উপর হামলা বরদাস্ত করা যায় না। কিন্তু, যারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন তারা কেন নীরব?”

Next Article