নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি (BJP)। দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এখন তাঁর মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে ২ জন মন্ত্রী রয়েছেন। দেবশ্রী চৌধুরী ও বাবুল সুপ্রিয় দু’জনেই প্রতিমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা এ বারের মোদী ক্যাবিনেট থেকে বাদ পড়তে পারেন দেবশ্রী চৌধুরী। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে ফিরতে পারেন দেবশ্রী।
ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙওয়ার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য থাওয়ারচাঁদ গেহলটকে কর্ণাটকের রাজ্যপালের পদে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। শারীরিক অসুস্থতার কারণে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ছাড়তে পারেন রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। সব মিলিয়ে বড়সড় রদবদল দেখতে চলেছে দেশ। মোদীর মন্ত্রিসভায় এখন ৫৩ জন মন্ত্রী রয়েছেন। সর্বোচ্চ ৮১ জনকে মন্তিত্ব দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ ২৮ জন নতুন মন্ত্রী হতে পারেন।
সূত্রের খবর, একাধিক মন্ত্রীর মন্ত্রক বদলাতে পারে। সব মিলিয়ে এ দিন শপথ নেবেন ৪৩ জন। কার ভাগ্যে মন্ত্রিত্ব জুটবে, আর কাকে মন্ত্রিত্ব হারাতে হবে তা জানা যাবে সন্ধে ৬ টায়। তবে মন্ত্রিত্ব পেতে ইতিমধ্যেই দিল্লির দরবারে পৌঁছেছেন একাধিক রাজ্যের সাংসদ-নেতারা। বাংলা থেকে ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, সুরিন্দর সিং আলুহালিয়া, জগন্নাথ সরকার ও দীনেশ ত্রিবেদী। এর মধ্যে নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে জল্পনার তালিকায় সবার প্রথমেই নাম রয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। তাঁর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগজান গত বছর মধ্য প্রদেশ দখল করতে সাহায্য করেছিল বিজেপিকে। তারপর থেকে রাজ্যসভায় একটি আসন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু পাননি তিনি। ফলে জ্যোতিরাদিত্যর নামই রয়েছে সবার উপরে। তিনি এখন দিল্লিতেই রয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানেই শোনা যাচ্ছে সর্বানন্দ সোনোয়ালের নাম। যাঁর আত্মত্যাগের কারণেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সোনোয়ালকেও ‘রিটার্ন গিফট’ দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে সাংসদদের হাট, মোদী ২.০ ক্যাবিনেটে জায়গা পাবেন কারা?