NQAS certification: জনস্বাস্থ্য পরিষেবায় দেশের সেরা বাংলা! ‘দ্রোহকালে’ কেন্দ্রর স্বীকৃতি

Oct 20, 2024 | 4:08 PM

NQAS certification: বাংলা জুড়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জনস্বাস্থ্য পরিষেবাকে বড় স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র। 'ন্যাশলাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস' বা 'এনকিউএএস' শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের সবকটি রাজ্যের আগে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

NQAS certification: জনস্বাস্থ্য পরিষেবায় দেশের সেরা বাংলা! দ্রোহকালে কেন্দ্রর স্বীকৃতি
বঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার এই সাফল্যের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাদানকারী সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Image Credit source: PTI and Getty imagaes

Follow Us

নয়া দিল্লি: বাংলা জুড়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অনশন, মিছিল, ধর্মঘটে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নাগরিকদের একাংশ। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জনস্বাস্থ্য পরিষেবাকে বড় স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র। ‘ন্যাশলাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস’ বা ‘এনকিউএএস’ শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের সবকটি রাজ্যের আগে রয়েছে বাংলা। আগে রয়েছে শুধুমাত্র দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল – দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দনম ও দিউ এবং চণ্ডিগঢ়। বঙ্গের প্রায় ২৫ শতাংশ জনস্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রই এই শংসাপত্র পেয়েছে।

পরিষেবার ব্যবস্থা, রোগীদের অধিকার, কত অর্থ খরচ করা হচ্ছে, সহায়তা পরিষেবা, ক্লিনিক্যাল কেয়ার, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপনা এবং কত আয় হচ্ছে – আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে এই আটটি ক্ষেত্র যাচাই করে গুণমানের শংসাপত্রটি দেওয়া হয়। জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলিয়ে রাজ্যর ১২,৮৫৯টি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রর পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৩.৬ শতাংশ বা ৩,০৩৯টি কেন্দ্র এনকিউএএস শংসাপত্র পেয়েছে।

শনিবার, এসপ্ল্যানেডে অনশন মঞ্চে অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়, মুখ্যমন্ত্রীও বঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবার এই সাফল্যের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবাদানকারী সকলকে অভিনন্দন জানান। সকল স্বাস্থ্য পেশাদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলা এই সাফল্য অর্জন করেছে বলে জানান তিনি।

অনেকেই মনে করেন বাংলার থেকে ভাল চিকিৎসা হয় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে। ভেলোর থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারতের বহু জায়গাই পরিচিত উন্নততর স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য। অদ্ভূতভাবে, এই শংসাপত্র পাওয়া ক্ষেত্রে দক্ষিণের এই রাজ্যগুলিও বাংলার পিছনে রয়েছে। অন্ধ্রের ১৮.১ শতাংশ, তেলঙ্গানার ১৪.৮ শতাংশ, তামিল নাড়ুর ১২.৬ শতাংশ এবং কর্নাটকের ৯.৫ শতাংশ স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র এনকিউএএস শংসাপত্র পেয়েছে।

Next Article