Bengaluru: ছোটবেলা থেকেই ফোলার শুরু, বেঙ্গালুরুর মহিলার মাথা থেকে বের হল ‘মার্বেলের থলি’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Aug 02, 2023 | 1:58 PM

বেঙ্গালুরুর শ্রী সত্য সাই ইনস্টিটিউট অব হায়ার মেডিক্যাল সায়েন্সেসে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা 'রেডিওলজি' জার্নালে এই অস্বাভাবিক ঘটনার কথা জানিয়েছেন।

Bengaluru: ছোটবেলা থেকেই ফোলার শুরু, বেঙ্গালুরুর মহিলার মাথা থেকে বের হল মার্বেলের থলি
৫২ বছর বয়সে প্রথমবার চিকিৎসকদের কাছে এসেছিলেন মহিলা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: ছোটবেলা থেকেই মহিলার মাথার পিছন দিকটা ফুলে উঠেছিল। তবে, কোনও ব্যথা ছিল না। তাই পাত্তা দেননি, ডাক্তার দেখাননি। কিন্তু ক্রমে সেই ফোলা অংশ বাড়তে বাড়তে প্রায় বেলুনের আকার নিয়েছিল সেটা। ৫২ বছর বয়সে যখন তিনি প্রথমবার চিকিৎসকদের কাছে এসেছিলেন, সেই সময় সেই ফোলা অংশটার আকার প্রায় ৬ ইঞ্চি লম্বা, ৪ ইঞ্চি চওড়া এবং দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫ ইঞ্চি ছিল। বাইরে থেকে দেখলে মনে হতে পারে চুলের খোপা বোধহয়। তবে অস্ত্রোপচার করে, ওই অংশটি বাদ দেওয়ার পর আরও অবাক হয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ফুলে যাওয়া অংশটির ভিতর যেটা ছিল, তার তুলনা একমাত্র ‘মার্বেলের থলি’র সঙ্গেই চলে। বিস্ময়কর এই ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে।

বেঙ্গালুরুর শ্রী সত্য সাই ইনস্টিটিউট অব হায়ার মেডিক্যাল সায়েন্সেসে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসকরা ‘রেডিওলজি’ জার্নালে এই অস্বাভাবিক ঘটনার কথা জানিয়েছেন। প্রথমে ওই মহিলার মাথার পিছনের ফোলা অংশটির এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, ওই অংশের মধ্যে গোল গোল কিছু অংশ রয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর, চিকিত্সকরা দেখেছিলেন, বেড়ে যাওয়া অংশটির তরল, চুল এবং পুরু আবরণ-সহ ফ্যাট এবং বিভিন্ন আকারের কেরাটিনের বলে ভরা। কেরাটিন হল এক ধরনের প্রোটিন। চুল, নখ এবং ত্বকের বাইরের স্তরের মতো মানবদেহের অংশগুলি এই কেরাটিন দিয়েই তৈরি।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ছোট আকারের বলগুলিক বলা হয় ‘ডার্ময়েড সিস্ট’। মূলত শরীরের বিভিন্ন কলা জমে জমে এই গোলকগুলি তৈরি হয়। এগুলির মধ্যে চুল, দাঁত বা স্নায়ুকোষও থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথা এবং ঘাড়ে এই ধরমের বৃদ্ধিগুলি হতে দেখা যায়। অনেকসময় ডিম্বাশয় বা শরীরের অন্যান্য অংশেও হয় ‘ডার্ময়েড সিস্ট’। কেন এগুলি তৈরি হয়, তার উত্তর এখনও বিজ্ঞানের অজানা। তবে, চিকিৎসকদের মতে, এগুলি সাধারণত ক্ষতিকর হয় না। ব্যথাও থাকে না। সম্ভবত এই কারণেই, বেঙ্গালুরুর ওই মহিলা, তাঁর ওই বিশাল আকারের সিস্টটি অপসারণের জন্য এতগুলে বছর দেরি করেছেন। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সেটি অপসারণের পর ওই মহিলাকে ছয় মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। সেটি আর ফিরে আসেনি।

Next Article