বেঙ্গালুরু: বাংলাদেশী তরুণীকে গণধর্ষণে(Gang Rape)-র মামলায় পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই ১২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিশ (Bengaluru Police)। ধৃতদের মধ্যে ১১ জনই বাংলাদেশ(Bangladesh)-র নাগরিক, এদের মধ্যে দুজন আবার মহিলা।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কমল পান্থ নিজেই টুইট করে এই সাফল্যের কথা জানান। তদন্তকারী দলের প্রশংসা করে তাদের এক লক্ষ টাকার পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেন তিনি। টুইটে তিনি বলেন, “বেঙ্গালুরু ধর্ষণকাণ্ডে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতা ও ধৃতদের মধ্যে ১১ জন বাংলাদেশের নাগরিক। মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই গোটা তদন্ত শেষ করা হয়েছে এবং আদালতে ১০১৯ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।”
..within a short span of 5 weeks.
The meticulous investigation conducted by N.B. Sakri, ACP sub-division, and his team under the close supervision of @DCPEASTBCP and the overall guidance of @AddlCPEast is highly commendable. (2/3)
— Kamal Pant, IPS (@CPBlr) July 8, 2021
গত মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গণধর্ষণের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। নির্ভয়াকাণ্ডের অনুকরণেই ওই তরুণীর যৌনাঙ্গেও বোতল ঢুকিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হয়। সেই ভিডিয়োর ভিত্তিতেই বেঙ্গালুরু পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং দুই মহিলা সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, ধৃতরা সকলেই বাংলাদেশের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২২ বছরের ওই তরুণীকে গণধর্ষণ করেছিল তাঁরই পরিচিত কয়েকজন যুবক। সেই নির্যাতনের ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তাঁরা। নির্যাতিতা নিজে কোনও অভিযোগ না জানানোয় প্রথমে কোনও পদক্ষেপ না করলেও পরবর্তী সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই ভিডিয়ো দেখতেই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে। এরইমধ্যে ধৃতদের ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই দুই অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ তাঁদের পায়ে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
নির্যাতিতা ভিন রাজ্যে থাকায় তাঁর বয়ান রেকর্ডের জন্য বেঙ্গালুরুতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। অসম পুলিশের তরফেও অভিযুক্তদের খোঁজ দিলে পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাড়ছে ‘উদ্বেগের কারণ’, ১১ রাজ্যের পর এ বার উত্তরাখণ্ডেও মিলল ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তের খোঁজ