নয়া দিল্লি: টিকার ভিন্ন দাম নিয়ে তুমুল তরজা। অবশেষে বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, ‘জীবন বাঁচাতে’ টিকার দাম কমাচ্ছে তারা। সেই মতো রাজ্য সরকারের জন্য ১০০ টাকা কমিয়ে ৪০০-র পরিবর্তে ৩০০ টাকায় টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা। একই পথে ভারত বায়োটেকও। তারাও টিকার দাম রাজ্যের জন্য ৬০০-র পরিবর্তে ৪০০ ধার্য করল।
বিবৃতিতে ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, বর্তমান অতিমারি পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত তারা। তাই জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সমস্যার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারকে ৪০০ টাকায় ভ্যাকসিনের ডোজ় তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষ্ণ এল্লার সংস্থা। আগে ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল ৬০০ টাকায় তারা ভ্যাকসিনের ডোজ় দেবে রাজ্য সরকারকে। সেরাম জানিয়েছিল, ৪০০ টাকা রাজ্য সরকারকে টিকা দেবে তারা। কিন্তু উভয়ের ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের জন্য দাম ছিল ১৫০ টাকা প্রতি ডোজ়। যা নিয়ে বিরোধীদের নিশানার মুখে পড়ে কেন্দ্র।
এরপরই একে একে টিকার দাম কমাল দুই সংস্থাই। তবে টিকার দামের এই বৈষম্যের প্রসঙ্গ গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। একই টিকার দাম দু’ধরনের কেন, কীসের ভিত্তিতে, তা জানতে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, দেশে বর্তমানে জাতীয় বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই কঠিন সময়ে রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানো উচিত। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই মুহূর্তে মানুষের জীবন বাঁচানোই আদালতের অগ্রাধিকার। আদালত প্রয়োজন মনে করলেই হস্তক্ষেপ করবে। পাশাপাশি দুই করোনা টিকার দামের বিভিন্নতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। কেন কেন্দ্র, রাজ্য এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোর জন্য ভ্যাকসিনের দাম আলাদা? কীসের ভিত্তিতে এই দাম তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘পর্যাপ্ত টিকা নেই, অপেক্ষা করুন’, ১ মে থেকে ১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণে ‘না’ মুম্বইয়েরও