নয়া দিল্লি: ব্রাজিলের সঙ্গে ১৬০০ কোটি টাকার কোভ্যাক্সিন চুক্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করার ঘোষণার পরই মুখ খুলল ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। এ দিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, তারা সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করেই চুক্তি করা হয়েছিল।
চলতি বছরেই ফেব্রুয়ারি ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) সংস্থার কাছ থেকে ২ কোটি কোভ্যাক্সিন (Covaxin) কেনার চুক্তি করে ব্রাজিল (Brazil)। সম্প্রতি সেই চুক্তি চূড়ান্ত হতেই বিতর্ক শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, অপেক্ষাকৃত কমদামি ফাইজ়ার(Pfizer)-র ভ্যাকসিন ছেড়ে বেশি টাকার বিনিময়ে ভারত বায়োটেক সংস্থার সঙ্গেই কেন চুক্তি করল ব্রাজিল। দেশের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধেও এই চুক্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তদন্ত শুরু হতেই ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবার বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “তদন্তকারী কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী চুক্তিতে কোনও অনিয়ম নেই। তবে আরও গভীরে তদন্তের স্বার্থে স্বাস্থ্যমন্ত্রক আপাতত ওই চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এ দিন ভারত বায়োটেকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “ব্রাজিলে টিকানিয়ামক সংস্থা ও চুক্তির প্রতিটি শর্ত ধাপে ধাপে পূরণ করেছে সংস্থা। গত বছরের ২৯ জুন প্রথম সাক্ষাতের পর থেকেই বিগত আট মাস ধরে চুক্তি ও ভ্যাকসিনের অনুমোদন নিয়ে প্রতিটি ধাপে নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে।”
সংস্থার তরফে জানানো হয়, ব্রাজিলে গত ৪ জুন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে ভারত বায়োটেক। ২৯ জুন অবধি ভ্যাকসিনের জন্য কোনও অগ্রিম টাকা পায়নি সংস্থা। ভারত বায়োটেকের তরফেও ব্রাজিলে কোনও টিকা পাঠানো হয়নি। বাকি দেশগুলির ক্ষেত্রে সংস্থা যেমন চুক্তি ও অনুমোদনের জন্য নিয়ামক সংস্থার শর্ত পূরণ করেছে, ব্রাজিলের ক্ষেত্রেও একই পথ অনুসরণ করা হয়েছে।
ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষিতে হায়দরাবাদের এই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা জানায়, ভারত বাদে যে কোনও দেশের ক্ষেত্রেই কোভ্যাক্সিনের দাম ১৫ থেকে ২০ ডলার ধার্য করা হয়েছে। ব্রাজিলেও প্রতি ডোজ় পিছু ১৫ ডলার করে দাম ধার্য করা হয়েছিল। অন্যান্য দেশগুলিতেও এই দামেই টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানায় ভারত বায়োটেক।
ব্রাজিলে কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন ও সরবরাহের জন্য প্রেসিসা মেডিকামেন্টোস নামক একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বলেও জানায় ভারত বায়োটেক। ১২৩ টি দেশে ৪ কোটিরও বেশি টিকা সরবরাহ করেছে ভারত বায়োটেক, এ কথা উল্লেখ করে সংস্থার তরফে চুক্তি বা অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনও ভুল পথ অনুসরণ করার অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘করোনায় মৃতদের পরিবারপিছু ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে’, কেন্দ্রকে ৬ সপ্তাহের সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট