Odisha panchayat polls: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় ধাক্কা, ৫ শতাংশ আসনেও জিততে পারল না গেরুয়া শিবির!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Mar 01, 2022 | 8:20 AM

Odisha Panchayat Election: ২০১৭ সালে বুথভিত্তিক সংগঠন মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছিল গেরুয়া শিবির সেই কারণেই ২৯৭ টি জেলা পরিষদ আসেন তার জয়ী হয়েছিল।

Odisha panchayat polls: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় ধাক্কা, ৫ শতাংশ আসনেও জিততে পারল না গেরুয়া শিবির!
ছবি: ফাইল চিত্র

Follow Us

ভুবনেশ্বর: ওড়িশা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় ধাক্কার মুখে পড়ল গেরুয়া শিবির। সোমবার ওড়িশার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফল ঘোষণা পর দেখা গিয়েছে নবীন পট্টনায়কের (Naveen Patnaik) বিজু জনতা দল (Biju Janata Dal) নিজেদের প্রতীকে লড়া জেলা পরিষদের ৯০ শতাংশ আসনই জিতেছে বা এগিয়ে রয়েছে। ১৬ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হওয়ার ওড়িশার ৮৫২ টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৫৫৩ টি আসনে বিজেডি জয়ী হয়েছে এবং ২১০ টি আসনে তারা এগিয়ে রয়েছে। এখনও অবধি ওড়িশা পঞ্চায়েত নির্বাচনে এটাই নবীন পট্টনায়কের দলের শ্রেষ্ঠ ফলাফল। ২০১২ সালের তুলনায় অতিরিক্ত ১১২ টি আসনে এবার জয় পেয়েছে বিজেডি। এই প্রথমবার ওড়িশার ৩০ জেলা পরিষদের ৩০ টিই নবীন পট্টনায়কের দখলে যেতে চলেছে। ৮৫২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৪ টি ও কংগ্রেস ৩৭ টি আসনে জয়ী হয়েছে।

যদিও এবারের নির্বাচনে বিজেডির জয় প্রত্যাশিত ছিল, তবে বিজেপি ভেবেছিল হয়ত তাদের আসন সংখ্যা বাড়বে। ২০১৭ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজেপি ১৫ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছিল, সেখানে তারা প্রত্যাশায় করতে পারেনি যে এবারের নির্বাচনে তাদের এত খারাপ ফলাফল হবে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৮.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ৮ টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। লোকসভার সঙ্গে একই সঙ্গে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনেও ৩২.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। ১৪৭ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২৩ টি আসনে বিজেপি জিতেছিল।

২০১৭ সালে বুথভিত্তিক সংগঠন মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছিল গেরুয়া শিবির সেই কারণেই ২৯৭ টি জেলা পরিষদ আসেন তার জয়ী হয়েছিল। তৈরি হওয়া সংগঠনের জেরেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৮ টি আসন গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর হাতে। তবে ২০২২ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রচারে স্পষ্টতার অভাব ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকার কারণেই এই ব্যপক পরাজয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল স্তরে ব্যপক প্রচার করেছিল বিজেডি। গ্রামীন ভোটারদের বিশ্বাস অর্জন করতে তারা অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ২০২২ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা হয়ত তারা প্রচার মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বিজেপির যোগ্য নেতৃত্বের অভাবও নির্বাচনে পরাজয়ের অন্যতম বড় কারণ। তাদের মতে রাজ্যে প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান নিজের রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে প্রচারের বদলে উত্তর প্রদেশে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। তার অনুপস্থিতিও বড় ফারাক তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন Chhattisgarh government: গরুদের সুরক্ষায় কৃষকদের থেকে সরাসরি ‘গোমূত্র’ কিনবে সরকার!

Next Article