Bihar Minister: নীতীশের মন্ত্রিসভায় ‘অল ইজ় নট ওয়েল’? বদলির ঘোষণার পরই রাতারাতি ইস্তফা দিলেন মন্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 01, 2022 | 6:40 AM

Bihar Minister: মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যখন মহাগঠবন্ধন সরকারের মন্ত্রিসভা সাজাচ্ছিলেন, সেই সময় তেজস্বী যাদবের পরামর্শেই কার্তিক কুমারকে আইন মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ভূমিহার সমাজের প্রতিনিধি হওয়ার কারণেই কার্তিক কুমারকে এই মন্ত্রীপদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

Bihar Minister: নীতীশের মন্ত্রিসভায় অল ইজ় নট ওয়েল? বদলির ঘোষণার পরই রাতারাতি ইস্তফা দিলেন মন্ত্রী
কার্তিক কুমার। ছবি টুইটার

Follow Us

পটনা: অপহরণ মামলায় নাম জড়াতেই বদলি হয়েছিল এক দফতর থেকে অন্য দফতরে। কিন্তু সমালোচনার ঝড় তাতেও থামেনি। বিতর্কের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার এক সদস্য। বুধবার রাতেই কার্তিক কুমার নামক ওই মন্ত্রী জানান, বিরোধীদের দাবি মেনে তিনি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। এদিকে, দলের অন্দরে জল্পনা, আইনমন্ত্রী থেকে আখ বিভাগের মন্ত্রী করে দেওয়াতেই অপমানিত বোধ করেছেন কার্তিক কুমার। সেই কারণেই তিনি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

বিহারে নতুন গঠবন্ধন সরকারে আরজেডির অন্যতম প্রতিনিধি ছিলেন এই কার্তিক কুমার। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানান। তাঁর সেই ইস্তফা স্বীকার করে নিয়ে, ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যখন মহাগঠবন্ধন সরকারের মন্ত্রিসভা সাজাচ্ছিলেন, সেই সময় তেজস্বী যাদবের পরামর্শেই কার্তিক কুমারকে আইন মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ভূমিহার সমাজের প্রতিনিধি হওয়ার কারণেই কার্তিক কুমারকে এই মন্ত্রীপদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে কার্তিকের এই মন্ত্রীত্ব নিয়ে সম্প্রতিই আপত্তি তোলে বিজেপি। বিহারের ববিজেপি সভাপতি ২০১৪ সালের অপহরণ মামলায় কার্তিকের নাম জড়িত থাকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন যে নীতীশ কুমার এভাবেই নিজের অনুগতদের বাঁচিয়ে দেন, তাদের বিরুদ্ধে যতই গুরুতর অভিযোগ থাকুক না কেন। লালু প্রসাদ যাদব ও তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবের ক্ষেত্রেও একই হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিহারের অন্যতম প্রভাবশালী উচ্চ বর্ণ হল ভূমিহার। মূলত বিজেপির প্রতি তাদের সমর্থন থাকলেও, কার্তিক কুমারকে মন্ত্রী করায় তাদের সমর্থন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের দিকেও ঝুঁকেছিল। কিন্তু অপহরণ মামলায় নাম জড়িত থাকার কারণেই বুধবার তাঁকে আইন মন্ত্রী থেকে সরিয়ে আখ বিভাগের মন্ত্রী করে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় আখ বিভাগের মন্ত্রী শামিম আহমেদকে আইন বিভাগের মন্ত্রী করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের পুরনো মামলার প্রেক্ষিতে মন্ত্রীপদে রদবদল এবং আইনমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে আখ বিভাগের মন্ত্রী, যা তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর কারণেই ক্ষুব্ধ ভূমিহার সমাজের প্রতিনিধি। রদবদলের নির্দেশ আসার পরই তিনি মন্ত্রীপদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

Next Article