দিল্লি: গরু পাচারকান্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের তাবড় নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। আপাতত, তিহাড়েই দিন কাটছে তাঁর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তাঁকে জেরা করে চাঞ্চলকর তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দাদের হাতে। এমন আবহে এবার দিল্লিতে তলব কেষ্ট ঘনিষ্ঠ নির্মাণ ব্যবসায়ী। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ইডি দফতরে ঢোকেন ডালিম। এরপর রাত্রি ৯টা নাগাদ তিনি বের হন ইডি দফতর থেকে।
সূত্রের খবর, একটানা ৯ ঘণ্টার জেরার পর ইডি দফতর থেকে বের হন ডালিম। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে ঢোকেন ডালিম। তদন্তকারীদের সন্দেহ, নির্মাণ ব্যবসায় বিনিয়োগ হয়েছে গরু পাচারের অর্থ। সেই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এ দিন ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। তদন্তকারীরা মনে গরু পাচারের টাকা প্রোমোটারি ব্যাবসায় লাগানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ডালিম। একাধিকবার কেষ্টর সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় শুধু কেষ্ট নন, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং তাঁর হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকী তৃণমূল নেতার কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। যদিও, পর পর তিনবার ইডির হাজিরা এড়িয়েছেন সুকন্যা। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়েছেন অনুব্রত কন্যা।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট? উঠছে প্রশ্ন।