নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। দেশে বিভিন্ন রাজ্যে যত লোকসভা আসন রয়েছে, সে গুলিকে জেতার সম্ভাব্য ক্ষমতা অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ করছে বিজেপি। আসনগুলিকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। জেতার সম্ভাব্য ক্ষমতা অনুযায়ী আসনগুলিকে A, B, C, D- চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হচ্ছে। যে লোকসভা আসনে বিজেপি ধারাবাহিকভাবে যেতে সেগুলিকে ক্লাস্টার A তে রাখা হয়েছে। যে আসনে বিজেপি কখনও জিততে পারে না সেগুলিকে ক্লাস্টার D তে রাখা হয়েছে। যে সমস্ত আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলিকে রাখা হয়েছে ক্লাস্টার B এবং C তে।
প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ছত্তীসগঢ়ের ৯০টি আসনকে নিয়ে। এর মধ্যে ২৭টি আসনকে বি ও সি ক্লাস্টারে রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছত্তীসগঢ়ের মডেল বাস্তবায়িত হবে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও। মধ্য প্রদেশেও এ রকম দুর্বল আসনগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশের যে সব লোকসভা আসনে বিজেপির জেতার সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ পদ্মশিবির যে আসনে দুর্বল সেগুলিকে চিহ্নিত করার কাজ অনেক আগেই শুরু করেছে বিজেপি। ২০২২ সালের শুরুর দিক থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে মোট ১৪৪টি লোকসভা আসনকে দুর্বল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বিজেপির জেতার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। সুনির্দিষ্ট বুথ-সহ আসন চিহ্নিতকরণের কর্মসূচি এক বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল বিজেপি। এই চিহ্নিতকরণ কর্মসূচির আহ্বায়ক হিসেবে কাজ করেছেন বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারি বিনোদ তাওড়ে।
সমগ্র দেশকে কয়েকটি জোন হিসেবে ভাগ করে দুর্বল আসন চিহ্নিত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানি, নিত্যানন্দ রাই, অনুরাগ ঠাকুর, জি কিষেণ রেড্ডি এবং মহেন্দ্রনাথ পান্ডেকে। ইতিমধ্যেই সমগ্র দেশকে তিনটি জোন হিসেবে ভাগ করে কেন্দ্রীয় স্তরে বৈঠক করেছে বিজেপি। দুর্বল আসন চিহ্নিত করার কাজ কীভাবে এগোচ্ছে তা লাগাতার পর্যালোচনা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।