মুম্বই: বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে ২৩ নভেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন টানাপোড়েন চলেছিল। আর ফল ঘোষণার তিন সপ্তাহ পর মন্ত্রিসভার ৩৯ জন সদস্য শপথ নিলেন। রবিবার নাগপুরে রাজভবনে হল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। মন্ত্রিসভায় বিজেপির ১৯ জন ও তার দুই জোটসঙ্গীর ২০ জন শপথ নিলেন।
রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস ও দুই উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৪৩ জন সদস্য থাকতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী ও দুই উপমুখ্যমন্ত্রীকে ধরলে এই মুহূর্তে মন্ত্রিসভার সদস্য ৪২ জন।
এদিন বিজেপির যে ১৯ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে, আশিস শেলার, গণেশ নায়েক, পঙ্কজা মুন্ডে, চন্দ্রকান্ত পাটিল এবং নীতেশ রানা।
শিবসেনার ১১ জন ও এনসিপির ৯ জন শপথ নিয়েছেন। শিবসেনা বিধায়ক শম্ভুরাজ দেশাই, সঞ্জয় রাঠোর, উদয় সামন্তরা মন্ত্রী হয়েছেন। অন্যদিকে, এনসিপির ধনঞ্জয় মুন্ডে, অদিতি তাতকারে, হাসান মুশরিফরা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ৩৯ জনের মধ্যে এদিন ৩৩ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ৬ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। ১৮ জন প্রথমবার মন্ত্রী হলেন।
২৩ নভেম্বর ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে টানাপোড়েন চলেছিল। শেষ পর্যন্ত ৫ ডিসেম্বর বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীস মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এরপর বিজেপি ও তার দুই জোটসঙ্গীর মধ্যে মন্ত্রিসভায় দফতর নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। যার জেরে মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ পিছিয়ে যায়।
এদিন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, “মন্ত্রিসভার সদস্যদের মেয়াদ আড়াই বছর। তারপর প্রত্যেকের আলাদা করে কাজের মূল্যায়ন হবে। তার ভিত্তিতে তাঁরা আরও আড়াই বছর মন্ত্রী থাকবেন কি না, তা স্থির হবে।” এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বণ্টন করা হয়নি। ফড়ণবীস জানান, ২ দিনের মধ্যে মন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করা হবে।
মন্ত্রীদের আড়াই বছর সুযোগ দেওয়া নিয়ে শিবসেনার একনাথ শিন্ডে বলেন, “অনেকেই মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। আমরা দল হিসেবে মন্ত্রীদের আড়াই বছর সুযোগ দিচ্ছি। কাজ না করলে সরতে হবে। এর ফলে অনেকে সুযোগ পেতে পারেন।” প্রত্যেক মন্ত্রীকে এই শর্তের কথা জানানো হয়েছে বলে জানালেন ফড়ণবীস ও তাঁর দুই ডেপুটি। অজিত পাওয়ার জানান, তাঁরা তিনজনই মন্ত্রীদের আড়াই বছর দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে একমত হয়েছেন।