নয়া দিল্লি: রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনার ওষুধ ফ্যাবিফ্লু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই বিপাকে বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর। বুধবার তিনি টুইটে লিখেছিলেন, পূর্ব দিল্লিতে যাদের ফ্যাবিফ্লু-র প্রয়োজন, তাঁরা আধার কার্ড ও প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ সংগ্রহ করতে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওষুধের কালোবাজারি করার অভিযোগ উঠতে সাংসদের প্রশ্ন, “আমার কয়েকশো স্ট্রিপ ফ্যাবিফ্লু কেনাতেই গোটা দেশে সঙ্কট দেখা দিয়েছে?”
দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই রেমিডেসিভির ও ফ্যাবিফ্লু নামক করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়। তড়িঘড়ি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে অর্ডার দিলেও কালোবাজারি শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে। ৫০০ টাকার ওষুধ ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হতে শুরু করে।
এই পরিস্থিতির মাঝেই গত ২১ এপ্রিল বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর টুইট করে লেখেন, “পূর্ব দিল্লিতে যাঁদের ফ্যাবিফ্লু প্রয়োজন, তাঁরা আমার সাংসদ অফিস (২, জাগ্রীতি এনক্লেভ) থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারেন। দয়া করে সঙ্গে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ও নিজের আধার কার্ড আনবেন।”
People of East Delhi can get ‘Fabiflu’ from MP office (2, Jagriti Enclave) for FREE between 10-5. Kindly get Aadhar & prescription
पूर्वी दिल्ली के लोग “Fabiflu” मेरे कार्यालय (2, जाग्रति एन्क्लेव) से 10 से 5 के बीच मुफ़्त में ले सकते हैं. अपना आधार और डॉक्टर की पर्ची ले आएं
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) April 21, 2021
সাংসদের এই টুইটের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল। একাংশ যেখানে গম্ভীরের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন, সেখানেই আপ, কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে কালোবাজারির অভিযোগ আনেন। আপ নেতা রাজেশ শর্মা বলেন, “এই কারণেই বাজারে রেমিডেসিভির, ফ্যাবিফ্লু সহ অন্যান্য ওষুধগুলি পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপি নেতারা ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি করছেন। এটা গুজরাটেও হচ্ছে। এইধরনের নেতাদের গ্রেফতার করা উচিত।” কংগ্রেস নেতা পবন খেরাও জানান, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।
এরপরই গতকাল গৌতম গম্ভীর বলেন, “আমি যদি ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে কয়েকশো স্ট্রিপ ট্যাবলেট কিনে বিনামূল্যে বিতরণ করি, তবে তা কালোবাজারি হয়ে গেল? আমার কয়েকশো স্ট্রিপ কেনাতেই সঙ্কট দেখা গিয়েছে? আপনারা আমায় ভুল বলতেই পারেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে আমি সবকিছু করতে প্রস্তুত।”
আরও পড়ুন: চরম অক্সিজেন সঙ্কট রাজধানীতে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত বেড়ে দাঁড়াল ৩০৬, আক্রান্ত ২৬ হাজারেরও বেশি