নয়া দিল্লি: প্যানেলে নাম ওঠা সত্ত্বেও চাকরি মেলেনি। চাকরির দাবিতে কলকাতা ধর্মতলায় পশ্চিমবঙ্গ SLST চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা-আন্দোলন হাজার দিন পেরিয়েছে। মস্তক-মুণ্ডন করে, রাস্তায় ধরনা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। কলকাতার রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীদের সেই আন্দোলনের ঢেউ এবার পৌঁছল কয়েকশো কিলোমিটার দূরে সংসদে। সোমবার লোকসভায় চাকরিপ্রার্থী মহিলার মস্তক মুণ্ডনের ছবি তুলে ধরে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ (BJP MP) সৌমিত্র খাঁ।
১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বকেয়া টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না বলে বছরের গোড়া থেকেই অভিযোগে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল, তৃণমূল। এবারের শীতকালীন অধিবেশনেও এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। এবার সেই ইস্যুর পাল্টা জবাব দিতে কলকাতার রাস্তায় চাকরিপ্রার্থী মহিলার মস্তক মুণ্ডনের ছবি তুলে ধরলেন বিজেপি সাংসদ। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাজের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যের অবস্থা শোচনীয় বলেও দাবি জানান বিষ্ণুপুরের সাংসদ।
এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সৌমিত্র খাঁ। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে কলকাতায় ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন, চাকরিপ্রার্থীদের দিনের পর দিন ধরনা-আন্দোলন, রেশনে দুর্নীতি, দুর্নীতির অভিযোগে মন্ত্রী-আধিকারিকদের জেলে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বিজেপি সাংসদ। সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলার কৃষকদের সরকার সাহায্য করবে না বলেও আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
বিষ্ণুপুরের সাংসদ আরও বলেন, আজ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে চলেছে। এপ্রসঙ্গে বুলেট ট্রেন থেকে মোদী সরকারের বিনামূল্যে রেশনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। বর্তমানে দেশের ছাত্ররা বিদেশে পড়তে গেলে ভারতীয় হিসাবে প্রশংসিত হয়, কিন্তু বাংলার কেউ বিদেশে গেলে সকলে বিরূপ নজরে দেখে বলেও তোপ দাগেন সৌমিত্র খাঁ।