কলকাতা: বিরল এবং বেনজির ঘটনা বললে ভুল হয় না। বিগত ২০ বছরে প্রথমবার কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের হাতে। যা নিয়ে বিজেপি রীতিমতো রাগে ফুঁসছে। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা একদিকে সুর চড়িয়েছেন। অপরদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ উদ্ধব সরকারকে ‘তালিবানি কায়দার সরকার’ বলে তোপ দেগেছেন। যদিও যে মন্তব্যের জেরে গোটা ঘটনার সূত্রপাত, অর্থাৎ উদ্ধব ঠাকরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চড় মারার হুমকি নিয়ে কাউকে খুব একটা মুখ খুলতে শোনা যাচ্ছে না।
বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট। দলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চড় মারার মন্তব্যকে সমর্থন করে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতি দলের ১০০ শতাংশ সমর্থন রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা একটি টুইটে লেখেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রাণের গ্রেফতারির মাধ্যমে মহারাষ্ট্র সরকার সাংবিধানিক মূল্য হনন করেছে। এই ধরনের কার্যকলাপে আমরা ভয়ও পাব না, পিছিয়েও আসব না। বিজেপির জন আশীর্বাদ যাত্রায় যে অপার সমর্থন দেখা যাচ্ছে এতে এরা (বিরোধীরা) বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই চালিয়ে যাব। যাত্রা জারি থাকবে।”
महाराष्ट्र सरकार द्वारा केंद्रीय मंत्री नारायण राणे जी की गिरफ़्तारी संवैधानिक मूल्यों का हनन है। इस तरह की कार्यवाही से ना तो हम डरेंगे, ना दबेंगे।
भाजपा को जन-आशीर्वाद यात्रा में मिल रहे अपार समर्थन से ये लोग परेशान है।
हम लोकतांत्रिक ढंग से लड़ते रहेंगे, यात्रा जारी रहेंगी।— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) August 24, 2021
অন্যদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরাসরি ‘তালিবানি’ তোপ দেগেছেন মহা আগাড়ি জোট সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর সোজা কথা, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসার থেকেই রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এই ঘৃণ্য কাজ করছে মহারাষ্ট্র সরকার।” রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, “তালিবানি শাসন না চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা মেনে কাজ করুন।”
গোটা বিতর্কের সূত্রপাত মহা আগাড়ি জোটের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। উদ্ধব কথাপ্রসঙ্গে মজাচ্ছলে বলেছিলেন, তিনি নাকি জানানে না যা ভারত কত সালে স্বাধীনতা লাভ করছিল। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানেন না, কোন বছর ভারত স্বাধীনতা পেয়েছিল। এটা লজ্জার বিষয়। ১৫ অগস্ট ভাষণ দেওয়ার সময় ভাষণ থামিয়ে তিনি অন্যদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘এ বার স্বাধীনতার কত বছর?’ রানের কথায়, স্বাধীনতার বছর কী ভাবে ভুলে যেতে পারেন উদ্ধব? তিনি বলেন, ‘আমি যদি সেখানে থাকতাম, তাহলে তাঁকে কষিয়ে চড় মারতাম।’
ব্যাস, এরপরই পালটা ৪ টি এফআইআর দায়ের করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় রাণের বিরুদ্ধে। রাণেকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার দীপক পাণ্ডে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার করার জন্য ডিসিপি সঞ্জয় বারকুণ্ডের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়। তাঁরাই রাণের বাড়ি গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেন। আরও পড়ুন: ৭০ বছরের সম্পদ ‘বন্ধুদের’ হাতে তুলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী! ‘উপহার’-এর তালিকা ধরালেন রাহুল