নয়া দিল্লি: আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন, বছর শেষে একাধিক রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই প্রস্তুতির কোনও খামতি রাখছে না বিজেপি। আসন্ন নির্বাচনগুলির রোডম্যাপ সাজাতেই আজ, বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসছে বিজেপি। আজ সন্ধেয় দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে এই বৈঠক হতে চলেছে। বৈঠকের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে আজ কেন্দ্রীয় নির্বাচন প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
সূত্রের খবর, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিই প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঠিক করে দেবে। কোন কোন রাজ্যে, আসনে বিজেপি দুর্বল, তা চিহ্নিতকরণ করে আগেভাগেই শক্তিশালী প্রার্থী বাছাই করা হবে, যাতে তাঁরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পান। পাশাপাশি কংগ্রেস সহ বিরোধী জোট কী কী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, তার পাল্টা জবাবে বিজেপি কী কী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করবে, তাও স্থির করা হবে এই বৈঠকে।
সাধারণত নির্বাচনের আগে খুব কমই এই প্য়ানেল বৈঠকে বসে, কিন্তু আসন্ন নির্বাচনগুলির গুরুত্ব বুঝে শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে এই প্যানেলকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পিছনে সম্প্রতি কর্নাটক নির্বাচনের বিজেপির পরাজয়ও বিশেষ কারণ।
চলতি বছরের শেষভাগেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে রাজস্থান, মধ্য় প্রদেশ, তেলঙ্গানা, ছত্তীসগঢ়, মিজোরামে। এরমধ্যে রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের সরকার রয়েছে। তেলঙ্গানায় শাসক দল বিআরএস। এই রাজ্যগুলিতে ক্ষমতা দখলই প্রধান লক্ষ্য বিজেপির।
অন্যদিকে, মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য দোষারোপ করে মিজোরামে শাসক জোটসঙ্গী এমএনএফ লোকসভায় অনাস্থা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধেই ভোট দিয়েছে। মধ্য প্রদেশেও দুর্নীতি ইস্য়ুতে কিছুটা চাপে রয়েছে বিজেপি।
এই বিধানসভা নির্বাচনগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই নির্বাচনের ফলাফল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ফলের আভাস দেবে। লোকসভায় কেন্দ্রকে হারাতে বিরোধী দলগুলি যেভাবে একজোট হয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোট তৈরি করেছে, তাতে ভোট ভাগাভাগি ও জোটসঙ্গীদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বাধ্য হয়েছে এনডিএ-ও।