নয়া দিল্লি: নয়া আবগারি নীতি নিয়ে মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই অভিযানের পর থেকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। মঙ্গলবার এই দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হচ্ছে গেরুয়া শিবির। আম আদমি পার্টির অন্যতম শীর্ষনেতাকে নিয়ে বিজেপির নতুন কৌশলে আবার আবগারি নীতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় রাষ্ট্রপতি কাছে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানাবেন দিল্লির ৮ বিজেপি বিধায়ক।
সোমবারা বিজেপির তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে যে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির পর্দাফাঁস করবে তারা। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দিল্লি আবগারি নীতি কাণ্ডেস অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত একজনের বাবা বলছেন যে দিল্লি মদ বিক্রির লাইসেন্স পাওয়ার জন্য তিনি ‘কমিশন’ দিয়েছেন।
ভিডিয়ো প্রকাশ করে আম আদমি পার্টি সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “ভিডিয়ো থেকে প্রমাণিত লাভের ৮০ শতাংশই মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, মণীশ সিসোদিয়া ও তাঁর বন্ধুদের কাছে গিয়েছে। কেজরীবালের নীতি হল আমাদের ৮০ শতাংশ দিন এবং বাকি ২০ শতাংশ বিক্রি করুন।”
বিজেপির এই দাবির পাল্টা জবাব দিয়েছেন সিসোদিয়া। তিনি বলেন, “যখন আমার বিরুদ্ধে কোনও কিছু না পেয়ে সিবিআই প্রায় আমাকে ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছে, তখন বিজেপি নতুন করে ভুয়ো স্টিং অপারেশনের তত্ত্ব সামনে আনছে। রাস্তায় কাউকে বসিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করে তাঁর থেকে পাওয়া উত্তরকে বিজেপি স্টিং অপারেশন বলছে? এটা মজা ছাড়া আর কিছুই নয়। এরম অনেক ভিডিয়ো আমিও দেখাতে পারি। আপনার সেগুলির সত্যি বলে মেনে নেবেন তো!”
সোমবার আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সিসোদিয়া। তিনি জানিয়েছেন তাঁকে ফাঁসানোর জন্য সিবিআইয়ের এক অফিসারকে ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সেই চাপ সহ্য না করতে পেরে ওই সিবিআই অফিসার আত্মঘাতী হয়েছেন। উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে জিতেন্দ্র কুমার নামে সিবিআই-এর একজন আইনি উপদেষ্টা দক্ষিণ দিল্লিতে তাঁর নিজ বাসভবনেই আত্মঘাতী হয়েছেন।