Rajya Sabha: রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল মোদী সরকার! ১৩-র ঘাটতি মিটবে কোন অঙ্কে?

Jul 15, 2024 | 4:20 PM

BJP's Rajya Sabha MP number dips: রাজ্যসভায় সাংসদ সংখ্যা কমল বিজেপির। সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল এনডিএ জোট। ২৪৫ সদস্যের রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লাগে ১১৩ জন সাংসদের সমর্থন। এনডিএ-র ঘাটতি আছে ১৩ জনের। কাজেই, আগামিদিনে, রাজ্যসভায় কোনও বিল পাশ করাতে গেলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে মোদী সরকারকে। এই ঘাটতি মিটবে কীভাবে?

Rajya Sabha: রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল মোদী সরকার! ১৩-র ঘাটতি মিটবে কোন অঙ্কে?
বিল পাশ করাতে নির্ভর করতে হবে অন্যদের উপর
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: রাজ্যসভায় সাংসদ সংখ্যা কমল বিজেপির। সংখ্যালঘু হয়ে পড়ল এনডিএ জোট। শনিবার রাজ্যসভা সদস্য হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে রাকেশ সিনহা, রাম শকল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমালানির। চারজনকেই শাসক দলের সুপারিশে জোট নিরপেক্ষ সদস্য হিসাবে মনোনিত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। পরে, তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে মোদী সরকারের জোটে সামিল করা হয়েছিল। এই চারজনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা নেমে এল ৮৬-তে। এর ফলে, এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১০১-এ। ২৪৫ সদস্যের রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লাগে ১১৩ জন সাংসদের সমর্থন। কাজেই, আগামিদিনে, রাজ্যসভায় কোনও বিল পাশ করাতে গেলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে মোদী সরকারকে। বিলগুলি পাশ করাতে ন্যূনতম ১৩ জন অতিরিক্ত সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন হবে। সেই প্রয়োজন কি মেটাতে পারবে তারা?

রাজ্যসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা ২২৫। এর মধ্যে ইন্ডিয়া জোটের হাতে রয়েছে ৮৭জন সদস্য। এর মধ্যে, কংগ্রেসের ২৬ জন, তৃণমূলের ১৩ জন এবং আম আদমি পার্টি ও ডিএমকে-র ১০ জন করে সাংসদ আছেন। এনডিএ এবং ইন্ডিয়া জোটের বাইরে, অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির রয়েছে ১১ জন সাংসদ, ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বিজেডির রয়েছে ৯ জন সাংসদ এবং তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর বিআরএস ও বিজেপির প্রাক্তন সঙ্গী এআইএডিএমকে-র রয়েছে ৪ জন করে সাংসদ। এছাড়া, রাজ্যসভায় মোট ১২ জন মনোনীত সদস্য আছেন। কয়েকজন নির্দল প্রার্থীও আছেন। উচ্চকক্ষে, এনডিএ সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়ার পর, এখন কোনও বিল পাশ করানোর জন্য মোদী সরকারকে তাকিয়ে থাকতে হবে এনডিএ জোটের বাইরে থাকা দলগুলির দিকে।

অতীতে ওয়াইএসআরসিপি এবং বিজেডি, মোদী সরকারকে ইস্যু-ভিত্তিক সমর্থন দিয়েছে। জগনমোহন রেড্ডির প্রতিদ্বন্দ্বী, চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি দলের সঙ্গে জোট গড়েছে বিজেপি। তবে, মোদী সরকারকে সমর্থন দেবে না বলে ঘোষণা করেননি জগন। তাই, জগনের দলের ১১টি ভোট মোদী সরকার পেতে পারে। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হওয়ার পর, নবীন পট্টনায়ক অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, আর বিজেপিকে সমর্থন করবেন না। বিজেপি সমর্থন পেতে পারে তাদের তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মিত্র, এআইএডিএমকে-র পক্ষ থেকে। তবে, আন্নামালাইকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে এখন কয়েক যোজন দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তারাও যদি সমর্থন দিতে না চায়, তাহলে বিজেপিকে মনোনীত সদস্যদের ভোটের দিকে তাকাতে হবে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, মনোনীত সদস্যরা রাজ্যসভায় ঢোকার সময় জোট-নিরপেক্ষ হিসেবে থাকলেও, সরকার তাদের সুপারিশ করে বলে কার্যত তারা ক্ষমতাসীন দলকেই সমর্থন করে।

এবার আসা যাক রাজ্যসভায় খালি আসনগুলির কথায়। বর্তমানে রাজ্যসভার মোট ২০টি আসন খালি রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি আসনে নির্বাচন হবে। মহারাষ্ট্র, অসম ও বিহারের দুটি করে আসনে এবং হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং ত্রিপুরায় একটি করে আসনে ভোট হতে পারে চলতি বছরেই। এই আসনগুলির মধ্যে, অসম, বিহার, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং ত্রিপুরা থেকে বিজেপি তথা এনডিএ সাতটি আসন জিততে পারে। মহারাষ্ট্রে যদি জোট ধরে রাখতে পারে, সেই ক্ষেত্রে এই রাজ্য থেকেও আরও দুটি আসন জিততে পাব়ে এনডিএ। ফলে, বিজেপি নয়টি অতিরিক্ত আসন পেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে এনডিএ-র আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ১১০-এ। এর সঙ্গে ১২ জন মনোনীত সদস্য এবং ওয়াইএসআরসিপি-র ১১ জন সাংসদের সমর্থন পেলে, এনডিএ সরকারের পক্ষে সমর্থনের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৩৩-এ। কাজেই, সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যার অনেক বেশি সমর্থনই থাকবে তাদের হাতে। তবে, রাজনীতিতে সব অঙ্ক তো পাটিগণিতের হিসেবে হয় না।

Next Article