লখনউ : উত্তর প্রদেশের হাপুর জেলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। শনিবার দুপুরে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের একটি রাসায়নিক কারখানার বয়লারে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন শ্রমিক মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ জন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথ।
পশ্চিম উত্তর প্রদেশের হাপুর জেলার ধৌলানা শিল্পাঞ্চলের একটি রাসায়নিক কারখানায় গতকাল দুপুরবেলা বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল প্রায় দুপুর ৩ টে নাগাদ ঘটেছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে সেই এলাকায় আশেপাশে অবস্থিত কয়েকটি কারখানার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দমকল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। এক বর্ষীয়ান পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হাপুরের ও আশেপাশের জেলা থেকে দমকল আসতে সময় লেগেছে ৩ ঘণ্টা। এই দুর্ঘটনার সময় কারখানায় ৩০ জন কর্মী কাজ করছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
হাপুরের সহকারী পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট সর্বেশ মিশ্র বলেছেন, ‘আটজন শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন এবং দু’জন মিরাট হাসপাতালে চিকিৎসার সময় মারা যান। গাজিয়াবাদের একটি হাসপাতালে একজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন।পরে রাতে আহত আরেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘১৩ জন আহত শ্রমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন হাপুর জেলা শাসক মেঘা রূপম ও অন্যান্য বর্ষীয়ান অধিকর্তা। এই বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোদী টুইটে লিখেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের হাপুরের রাসায়নিক কারখানায় দুর্ঘটনা হৃদয় বিদারক। যাঁরা এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। রাজ্য সরকার আহতদের চিকিৎসা এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্য়ের জন্য সক্রিয় রয়েছে।’ রাজ্য় সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ডিভিশনাল কমিশনার ও মীরাটের ইনস্পেক্টর জেনেরালকে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং ঘটনার তদন্ত করে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।