মুম্বই: দেশে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাকরণ বছরের শুরুর দিকেই হলেও এখনও বহু বয়স্ক মানুষই করোনা নিতে পারেননি। কারণ, তাদের পক্ষে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে বয়স্ক মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ সম্ভব কিনা, তা জানতে চাইল বম্বে হাইকোর্ট(Bombay High Court)। বুধবার এই বিষয়ে বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন(Brihanmumbai Municipal Corporation)কে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, পরিবারের অনুমতি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে টিকাকরণ সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে আদালতকে জানাতে।
আইনজীবী ধ্রুতি কাপাডিয়া সম্প্রতি একটি পিটিশন দাখিল করেন। তাতে তিনি জানান যে, বহু বয়স্ক মানুষই অসুস্থ বা শয্যাশায়ী, তাঁরা টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারছেন না। তাঁদের টিকাকরণের কোনও ব্যবস্থা করা সম্ভব কিনা। সেই আর্জির শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি জিএস কুলকার্নি বাড়ি বাড়ি টিকাকরণের কথা উল্লেখ করেন।
আদালতের তরফে জানানো হয়, টিকাকরণ কেন্দ্রে প্রাপকদের মধ্যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে কিনা, তা জানতে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলা হয়। তবে টিকাকরণের পর এরকম কতগুলি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কারণ যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরতে পারেন না, তাঁরা কি শুধুমাত্র এই কারণে টিকা থেকে বঞ্চিত হবেন?
অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অনিল সিং জানান, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের টিকাকরণের পরিকল্পনার জন্য। কমিটির তরফে বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকাকেন্দ্রে এনে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে কমিটি।
যদিও আদালত এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়ে বলে, “ওনারা নিজেদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন, কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। যদি বয়স্ক ব্যক্তির পরিবারের লোকজনেরা সমস্ত ঝুঁকির দিকগুলি জেনেই টিকাকরণে আগ্রহী হন, তবে কেন তাঁদের টিকা দেওয়া হবে না?” আগামী ২০ মে এই বিষয়ে বিএমসির কাছ থেকে জবাব চেয়ে বম্বে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘একটা আইসিইউ বেড হবে?’ হাসপাতালে ঠাই মিললেও করোনার গ্রাসে হারিয়ে গেলেন জামিয়া মিলিয়ার অধ্যাপিকা