ফারুকাবাদ: পরিজনের মধ্যস্থতায় বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের দিন ঠিক সময়েই পরিবারের লোকেদের সঙ্গে হাজির হয়েছিলন বর। দেখতে সুন্দর হলেও বরের আচরণ দেখে সন্দেহ জন্মায় কনে পক্ষের মনে। তখন কনে একটি ১০ টাকার নোটের বান্ডিল গুনতে দেন বরকে। কিন্তু সেই নোটের বান্ডিল বর গুনতে পারেননি বলে অভিযোগ। এর পরই বিয়ে ভেঙে দেন কনে। কনে বিয়ে ভাঙতেই দুই পরিবারের মধ্যে প্রবল ঝগড়া হয়। যদিও ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বরকে বিয়ে করতে রাজি হননি ওই কনে। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদে। ছেলের শারীরিক ও মানসিক অসমর্থতার কথা গোপন করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বরপক্ষের বিরুদ্ধে তুলেছে কনেপক্ষ।
জানা গিয়েছে, টাকা গুনতে অসমর্থ বরের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেওয়া যুবতীর নাম রীতা সিং। উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদ জেলার মহম্মদাবাদ এলাকার দুর্গাপুর গ্রামে বাড়ি তাঁর। ২১ বছরের রীতার সঙ্গেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল ২৩ বছরের এই যুবকের। কিন্তু ওই যুবকের মানসিক অসুস্থতার ব্যাপারে জানতেন না রীতা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। এ ব্যাপারে রীতার ভাই মোহিত জানিয়েছেন, তাঁদের পরিচিত এক মধ্যস্থতাকারী এই বিয়ে ঠিক করেছিলেন। ছেলের অসুবিধার ব্যাপারে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। কথার উপর বিশ্বাস করেই ঠিক হয়েছিল বিয়ে।
জানা গিয়েছে, বিয়ের মণ্ডপে বসার সময় বরের আচরণে প্রথমে সন্দেহ হয় মেয়ের বাড়ির পুরোহিতের। তখন তিনি সে কথা জানান কনেকে। সন্দেহ হওয়ায় ১০ টাকার ৩০টি নোট গুনতে বলা হয় বরকে। যদিও তা গুনতে সমর্থ হননি বলে অভিযোগ। এর পর বিয়ে করতে বেঁকে বসেন ওই কনে। জালিয়াতির অভিযোগ সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে বেশ কয়েকটি বিয়ে ভাঙার ঘটনা সামনে এসেছে। বছর দুয়ের আগে এক কনে বিয়ে ভাঙেন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বর মিথ্যা বলায়। স্কুলে না যাওয়া ব্যক্তি নিজেকে গবেষক দাবি করেছিলেন। তা জানতে পেরে বিয়ে ভাঙেন কনে।