মুম্বই: মুম্বইয়ে ব্রিটিশ আমলের একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলল। মুম্বইয়ের বাইকুল্লাতে সরকার চালিত জেজে হাসপাতালে এই সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে এই সেতুটির প্রায় ১৩২ বছরের পুরনো। মেডিক্যাল ওয়ার্ডের নীচেই এটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ মিটার। প্রথম এই সুড়ঙ্গে খোঁজ পান হাসপাতালের এক ডাক্তার অরুণ রাথোড়। এই সুড়ঙ্গের খোঁজ মিলতেই প্রত্নতাত্ত্বিক দফতরকে খবর দেওয়া হয়েছে।
কীভাবে ব্রিটিশ আমলের সুড়ঙ্গের হদিশ মিলল?
জল চুইয়ে পড়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গিয়েছে এই সুড়ঙ্গ। ডাক্তার অরুণ রাথোড় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, ‘জল চুইয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা নার্সিং কলেজ বিল্ডিং খতিয়ে দেখি। পিডব্লুডি ইঞ্জিনিয়ার ও নিরাপত্তারক্ষীরা বিল্ডিংয়ের সমীক্ষা করেন এবং এই ১৩২ বছরের পুরনো সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। এই সুড়ঙ্গটি এক প্রান্ত বন্ধ।’
Maharashtra | A 132-year-old tunnel has been discovered at the govt-run JJ Hospital in Mumbai’s Byculla. Built in the British Era, the 200-metre-long tunnel was found under the building of a medical ward (04.11) pic.twitter.com/RuNv2rbggP
— ANI (@ANI) November 5, 2022
এদিকে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-র প্রতিবেদন অনুযায়ী,একদা মহিলা ও শিশুদের জন্য স্যার দিনশ মানোকজি পেটিট হাসপাতাল (Sir Dinshaw Manockjee Petit Hospital for Women and Children)-র নীচেই এই সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে এই হাসপাতালকেই নার্সিং কলেজে রূপান্তরিত করা হয়েছে। রাথোড় জানিয়েছেন, ব্রিটিশ জমানার এই ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিংয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন হয়েছিল ১৮৯০ সালের ২৭ জানুয়ারি। আর সেই ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন বম্বের গভর্নর লর্ড রিয়ে। হাসপাতালের ডিন ডাঃ পল্লবী সাপলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, যেহেতু এটি একটি ঐতিহ্যবাহী নির্মাণ তাই মুম্বইয়ের জেলা প্রশাসক ও মহারাষ্ট্রের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে এই সুড়ঙ্গ উদ্ধারের বিষয়ে জানানো হয়েছে। রাথোড় পিটিআইকে জানিয়েছেন, ৩ ফুট ও ৩ ফুটের একটি ভেন্টিলেশন ডাক্ট খুলে তাঁরা প্রবেশ করেছেন। এদিকে যে বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে এই সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছে তার ডিজাইন করেছিল জন অ্যাডামস নামের এক স্থপতি। ১৮৯২ সালের ১৫ মার্চ এই ভবন তৈরি শেষ হয়েছিল। তবে রাথোড় জানিয়েছেন, হাসপাতালের বহু প্রাক্তন আধিকারিক মনে করেন, এই ভবনের পিছনেই ব্রিটিশ আমলের আরও একটি ভবন রয়েছে। সেই ভবনের নীচে একইরকম আরও একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। তবে সেই সুড়ঙ্গের কথা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, ভবন দুটি দুই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে জোড়া রয়েছে।