অমৃতসর: ফের একবার সীমান্তে বাড়ছে ড্রোনের দৌরাত্ব্য (Drone Activity)। আগামী সপ্তাহেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই আকাশপথে প্যাকেট বন্দি বিস্ফোরক ফেলে পালাল পাকিস্তানি ড্রোন। মঙ্গলবার রাতে অমৃতসরের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) নজরে আসে ড্রোনের গতিবিধি। এরপরই ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালালে তা সীমান্ত পার করে পাকিস্তানের (pakistan) দিকে পালিয়ে যায়। কাঁটাতারের এপার থেকে উদ্ধার করা হয় প্যাকেটবন্দি বিস্ফোরক।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পঞ্জাবের অমৃতসরের গুরুদাসপুর সেক্টর থেকে হলুদ প্যাকেটে মোড়া বিস্ফোরক উদ্ধার করে। আজনালা তহশিলের পঞ্জগ্রহীয়ান সীমান্ত আউটপোস্টে গতকাল রাত ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ সন্দেহজনক কিছু শব্দ শোনা যায়। এরপরই বেশ কয়েকবার আলো লক্ষ্য করতেই তৎপর হয়ে ওঠে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ভাল করে নজরদারি চালাতেই একটি ড্রোন চোখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ড্রোন লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি চালায়।
তবে গভীর অন্ধকারে দৃশ্যমানতা কম হওয়ায়, গুলি লাগেনি ওই ড্রোনে। সঙ্গে সঙ্গে তা সীমান্ত পার করে পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যায়। রাতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করলেও, তখন কিছু পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার সকালে স্নিফার ডগ নিয়ে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে তল্লাশি চালাতেই ঘাসের মাঝখান থেকে হলুদ প্যাকেটে মোড়া সন্দেহজনক বস্তু উদ্ধার করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে মোট দুটি জায়গা থেকে ওই সন্দেহজনক প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই প্যাকেটগুলির মধ্য়ে বিস্ফোরক রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কাদের জন্য এই বিস্ফোরক পাঠানো হচ্ছিল, তা জানতে গোটা এলাকাগুলি বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলিতে, বিশেষ করে পঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে ড্রোনের গতিবিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিরা নাশকতা চালানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক ও নগদ টাকা পাঠায়। একইসঙ্গে মাদক পাচার চক্রও চলছে ড্রোনের ব্যবহার করে।
গত বছর জম্মুতে ভারতীয় সেনার এয়ারবেসে হামলার পর থেকেই একটানা ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি ও হামলা চালানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তা ব্যর্থ করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় সেনা বাহিনী। কেন্দ্রের তরফেও ড্রোনের ব্যবহর ও গতিবিধি নিয়ে কঠোর নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে সীমান্তে ড্রোনের উপদ্রব তাতে কমেনি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে ড্রোনের প্রবেশ রুখতে অ্যান্টি ড্রোন ব়্যাডার বসানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এই প্রযুক্তি বিপুল খরচ সাপেক্ষ হওয়ায়, আদৌই তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
অমৃতসর: ফের একবার সীমান্তে বাড়ছে ড্রোনের দৌরাত্ব্য (Drone Activity)। আগামী সপ্তাহেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই আকাশপথে প্যাকেট বন্দি বিস্ফোরক ফেলে পালাল পাকিস্তানি ড্রোন। মঙ্গলবার রাতে অমৃতসরের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) নজরে আসে ড্রোনের গতিবিধি। এরপরই ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালালে তা সীমান্ত পার করে পাকিস্তানের (pakistan) দিকে পালিয়ে যায়। কাঁটাতারের এপার থেকে উদ্ধার করা হয় প্যাকেটবন্দি বিস্ফোরক।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পঞ্জাবের অমৃতসরের গুরুদাসপুর সেক্টর থেকে হলুদ প্যাকেটে মোড়া বিস্ফোরক উদ্ধার করে। আজনালা তহশিলের পঞ্জগ্রহীয়ান সীমান্ত আউটপোস্টে গতকাল রাত ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ সন্দেহজনক কিছু শব্দ শোনা যায়। এরপরই বেশ কয়েকবার আলো লক্ষ্য করতেই তৎপর হয়ে ওঠে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ভাল করে নজরদারি চালাতেই একটি ড্রোন চোখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ড্রোন লক্ষ্য করে বিএসএফ গুলি চালায়।
তবে গভীর অন্ধকারে দৃশ্যমানতা কম হওয়ায়, গুলি লাগেনি ওই ড্রোনে। সঙ্গে সঙ্গে তা সীমান্ত পার করে পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যায়। রাতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করলেও, তখন কিছু পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার সকালে স্নিফার ডগ নিয়ে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে তল্লাশি চালাতেই ঘাসের মাঝখান থেকে হলুদ প্যাকেটে মোড়া সন্দেহজনক বস্তু উদ্ধার করা হয়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে মোট দুটি জায়গা থেকে ওই সন্দেহজনক প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। ওই প্যাকেটগুলির মধ্য়ে বিস্ফোরক রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে কাদের জন্য এই বিস্ফোরক পাঠানো হচ্ছিল, তা জানতে গোটা এলাকাগুলি বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলিতে, বিশেষ করে পঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে ড্রোনের গতিবিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিরা নাশকতা চালানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক ও নগদ টাকা পাঠায়। একইসঙ্গে মাদক পাচার চক্রও চলছে ড্রোনের ব্যবহার করে।
গত বছর জম্মুতে ভারতীয় সেনার এয়ারবেসে হামলার পর থেকেই একটানা ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি ও হামলা চালানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তা ব্যর্থ করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় সেনা বাহিনী। কেন্দ্রের তরফেও ড্রোনের ব্যবহর ও গতিবিধি নিয়ে কঠোর নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে সীমান্তে ড্রোনের উপদ্রব তাতে কমেনি। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে ড্রোনের প্রবেশ রুখতে অ্যান্টি ড্রোন ব়্যাডার বসানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এই প্রযুক্তি বিপুল খরচ সাপেক্ষ হওয়ায়, আদৌই তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।