ঝিনাইদহ ‘দখল’ নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, বাংলাদেশের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ

Sayanta Bhattacharya | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 08, 2025 | 7:46 AM

BSF: ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

ঝিনাইদহ দখল নিয়ে বিজিবির মিথ্যাচার, বাংলাদেশের মুখোশ টেনে খুলে দিল বিএসএফ
ফাইল চিত্র।
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: আর কত মিথ্যা বলবে বাংলাদেশ? এবার ইউনূসের সেনার মিথ্যার মুখোশ টেনে খুলে দিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ঝিনাইদহে বিতর্কিত ৫ কিলোমিটার ভূখণ্ডকে ‘ভারতের দখলমুক্ত’ করা হয়েছে বলেই দাবি করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই বিবৃতি দিয়ে জানাল বিএসএফ।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মাটিলা সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে কোদলা নদী। এই নদীর পাঁচ কিলোমিটার অংশ নিয়েই বিতর্ক। বাংলাদেশ দাবি করে, এই ভূখণ্ড নাকি তাদের। কিন্তু সেখানে কোনও বাংলাদেশি মাছ ধরতেও যেতে পারত না। দুই দেশেরই টহল চলে এই এলাকায়। গতকাল, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ওই এলাকাকে নাকি দখলমুক্ত করেছে বিজিবি। সেখানে বাংলাদেশের দখল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হতেই নজরে আসে বিএসএফেরও। তারা সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, ঝিনাইদহের মাটিলা গ্রামের ৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা বিজিবি পুনরায় দাবি করার বিষয়ে ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ মিডিয়া চ্যানেলে প্রকাশিত নিবন্ধটি ভিত্তিহীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং সত্য ও যোগ্যতার বঞ্চিত।

বিএসএফ জানিয়েছে, ওই এলাকাটি ভারতের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদাহ ব্লকের রাংঘাট গ্রামের, যেখানে আন্তর্জাতিক সীমান্ত কোদালিয়া নদীর পাশ দিয়ে চলছে।নদীপথের কারণে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুই পাশে রেফারেন্স পিলার ভালভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আইবি বা বিএসএফের ডিউটি প্যাটার্নের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বিএসএফ এবং বিজিবি- উভয়েই তাদের কোদালিয়া নদীর পাশে দায়িত্ব পালন করে।

ওই এলাকাটি কাঁটাতার বিহীন হওয়ায়, চোরাচালান এবং সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখন্ডে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকে সর্বদাই। বিএসএফ এই এলাকা থেকে আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকাতে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এখন এই এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা নগণ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।

‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা ১৯৭৫’-এর বোঝাপড়া অনুসারে প্রকৃত স্থল পরিস্থিতি অক্ষুণ্ণ এবং উভয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শান্তিপূর্ণ আধিপত্যের অধীনে- এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছে বিএসএফ।

বিএসএফ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করে তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশি নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ বিজিবি সদস্যরা নদীর উপর নিয়ন্ত্রণ পেতে মোটর চালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে ২৪ ঘন্টা টহল শুরু করেছিল। এটি একটি মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়।

৫৮ বিজিবির নবনিযুক্ত কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিক ইসলামের করা মিথ্যা, মন গড়া দাবিগুলি অস্বীকার করা হয়েছে। এই ধরনের নিবন্ধ এবং মিডিয়া রিপোর্ট দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সদ্ভাবকে নষ্ট করবে বলেই সতর্ক করেছে বিএসএফ।  পাশাপাশি বিএসএফ আশ্বস্ত করেছে যে ভারতীয় ভূমির এক ইঞ্চিও দখল করা হয়নি বা ভবিষ্যতেও প্রতিপক্ষের দ্বারা দখল করা হবে না।

Next Article