Narendra Modi at Rajya Sabha: বিজেপির উন্নয়নের মডেলই হল আসল ধর্মনিরপেক্ষতা: সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদী

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি), রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জবাবী ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আদানি ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের অবিরাম স্লোগানের মধ্যেই তাঁর ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীরা ক্রমাগত ‘মোদী-আদানি ভাই ভাই’ এবং ‘মোদী সরকার শরম কারো’ বলে স্লোগান দিয়ে যায়। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়ার অভিযোগ করে বলেন, বিরোধীরা যতই কাদা ছুড়বে, ততই বেশি করে পদ্ম ফুটবে। আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? আসুন দেখে নেওয়া যাক –

1. আমাদের শৃঙ্খলার পথ গ্রহণ করতে হবে।
2. ভারত কোনও পরিবারের দাস নয়, দেশ কোনও পারিবারিক সম্পত্তি নয়।
3. প্রকল্পের নাম সংস্কৃত শব্দে রাখা নিয়ে কারোর কারোর সমস্যা আছে। কিন্তু, গান্ধী-নেহরু পরিবারের নামে ৬০০টি সরকারি প্রকল্প ছিল। আমি বুঝতে পারি না কেন নেহরু পরিবারের সদস্যরা তাঁর উপাধি বজায় রাখল না। কোন, ভয়ে, কীসের লজ্জায়?
4. আমাদের দেশ আগে মোবাইল ফোন আমদানি করত, কিন্তু এখন আমরা মোবাইল ফোন রফতানি করছি।
5. দেশের বিজ্ঞানীরা গোটা বিশ্বকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। কিন্তু তাদের অসম্মান করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
6. যে মহিলারা খরচের ভয়ে চিকিৎসা করাতে চাইতেন না, আমাদের সরকার আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে তাদের বীমার সুবিধা দিয়েছে।
7. বিজেপি সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পগুলি কৃষক-সহ ভারতের গরীব মানুষের ক্ষমতায়ন করেছে।
8. কংগ্রেস সরকারের আমলে আদিবাসীরা ভয়ে ভয়ে থাকতেন। বিজেপি সরকার তাদের বিকাশের মানচিত্রে নিয়ে এসেছে।
9. সকল প্রকল্পের সুবিধা যাতে ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছয়, তার অঙ্গীকার নিয়েছি আমরা। এটাই হল আসল ধর্মনিরপেক্ষতা। বিজেপির উন্নয়নের মডেলই আসল ধর্মনিরপেক্ষতা। এটা সকল বিভেদ দূর করে দেয়। বিভেদ থাকলেই দুর্নীতিও থাকে। শুধু তাই নয়, আমাদের এই উন্নয়নের মডেল তুষ্টীকরণের সম্ভাবনাও দূর করে দেয়। প্রান্তিক মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করে।
10. আমরা পরিশ্রমের রাস্তা বেছে নিয়েছি, নিজেরাই নিজেদের উপর চাপ বাড়িয়েছি। মানুষের মনে চাহিদা তৈরি করেছি।
11. সব থেকে বড় কথা হল, দেশের মানুষের সরকারি ব্যবস্থার প্রতি একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। আমরা এই বিশ্বাস জিতেছি। এই বিশাস অনেক বড় জিনিস। অনেক বড় কিছু সম্ভবপর হয় এই বিশ্বাসের জোরে।
12. আমাদের সরকরের অগ্রাধিকার ছিল সাধারণ মানুষ। তাই এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে। ৩২ কোটি ঘরে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দিয়েছি আমরা। ১৮০০০ গ্রামে পৌঁছে দিয়েছি বিদ্যুত।
13. ৪৮ কোটি মানুষ এই প্রকল্পে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। শুধু বন্ধ করে দিয়েছি কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট।
14.  কংগ্রেসের আমলে সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নের বুলি আওরানো হত। আমরা জনধন অ্যাকাউন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়ন ঘটিয়েছি।
15. যেমন ধরুণ ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া। আগে কোও গ্রামে একটা টিউবঅয়েল বসিয়েই এক সপ্তাহ উৎসব হত। আমরা সরকারে আসার ৩ কোটি ঘরে কলের জল পৌঁছত।  গত ৩-৪ বছরে আমরা ১১ কোটি ঘরে কলের জল পৌঁছে দিয়েছি।
16. কংগ্রেস কখনও কোনও বিষয়ের স্থায়ী সমাধানের কথা ভাবেনি, আমাদের সরকার বিতর্কিত সমস্ত বিষয়ের স্থায়ী সমাধানের উপর জোর দিচ্ছে
17. কংগ্রেস সরকার দেশের ৬০ দশক নষ্ট করেছে। ওই একই সময়ে অনেক ছোট দেশও ভারতের আগে এগিয়ে গিয়েছে
18. কংগ্রেস যতই কাদা ছুড়বে, ততই বেশি বেশি করে পদ্ম ফুটবে