বেঙ্গালুরু: বাইজু রবীন্দ্রন। কেরলের ছোট্ট গ্রামে জন্মানো রবীন্দ্রন এখন দেশের অন্যতম বৃহৎ এডুটেক সংস্থার প্রধান। বছর ১২ আগে তাঁর তৈরি করা সংস্থায় এখন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। দেশি, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা বিনিয়োগ করেছে রবীন্দ্রনের সংস্থায়। পাশাপাশি চলার পথে একাধিক সংস্থাকে অধিগ্রহণও করেছে বাইজু। এর মধ্যে বাইজুকে ঘিরে অনেক অভিযোগ সামনে এসেছে। বিতর্কও তৈরি হয়েছে সে সব নিয়ে। শনিবার বাইজুর বেঙ্গালুরুর অফিসে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৈদেশিক লেনদেনে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে এই এডুটেক সংস্থার বিরুদ্ধে। এই সংস্থার সম্পত্তির পরিমাণ ১০০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। বিভিন্ন সংস্থা মূলত বিদেশি সংস্থা থেকে তোলা ফান্ডের গরমিলের অভিযোগ উঠেছে বাইজুর বিরুদ্ধে।
বাইজুর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। তবে ২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপের সময় লিওনেল মেসিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বানায় বাইজু। মেসির সঙ্গে বিপুল অঙ্গের চুক্তি করার জন্য সে সময় প্রায় এক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছিল বাইজু। এই পদক্ষেপ প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়েছিল। যদিও কোভিডের সময় যখন স্কুল-কলেজ বন্ধ তখন অনলাইনে পড়াশোনার বিষয়টি আরও জনপ্রিয় হয়। এই সময় বাইজুর ব্যবসাও উল্লেখযোগ্য বেড়েছে। ২০২২ অর্থবর্ষে বাইজুর গ্রস রেভিনিউ ১০ হাজার কোটি ছাড়িয়েছিল। যেখানে ২০২১ অর্থবর্ষে সেই অঙ্ক ছিল ২ হাজার ৪২৮ কোটি।
২০১৩ সালে প্রথম বাইরে থেকে বিনিয়োগ তুলেছিল বাইজু। টিভি মোহনদাস পাই এবং রঞ্জন পাইয়ের নেতৃত্বাধীন আরিন ক্যাপিটাল লগ্নি করে বাইজুতে। আড়াই কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল বাইজুতে। তিন বছর পর আর চার সংস্থার থেকে ফান্ড তোলে বাইজু। মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা মেটাও বিনিয়োগ করেছিল বাইজুতে। ৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ মেটা করেছিল বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও একাধিক সংস্থা বিনিয়োগ করেছিল বাইজুতে।
২০১৭ সালে বাইজুর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হন শাহরুখ খান। তাঁর সঙ্গে হওয়া চুক্তির বর্তমান মূল্য প্রায় প্রায় ৮০ কোটি ডলার। বাইজুর ইতিহাসে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধিগ্রহণ আকাশ ইনস্টিটিউটকে কিনে নেওয়া. মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রস্তুতির জন্য খ্যাত এই সংস্থাকে কেনে বাইজু। আনঅ্যাকাডেমিকে কেনার ব্যাপারেও বাইজু কথাবার্তা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।