নয়া দিল্লি: গণপিটুনি (Mob Lynching) থেকে গণধর্ষণ (Physical Assault), বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজার বিধান আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Union Government)। শুক্রবার লোকসভায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি জানান, একাধিক আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এবার থেকে গণপিটুনির ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজার বিধান আনা হবে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন সাত বছর থেকে মৃত্যুদণ্ডের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হতে পারে। পাশাাপাশি নির্বাচনের সময়ে ভোটারদের ঘুষ দেওয়ার অপরাধে এক বছর অবধি কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, নতুন আইনের বিধানে খুনের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা হবে গণপিটুনিকে। তিনি বলেন, “নতুন আইনে যারা খুনে অভিযুক্ত হবে, তাদের মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হবে এবং জরিমানাও দিতে হবে।”
গণপিটুনির ক্ষেত্রে সাজা নিয়ে তিনি বলেন, “যখন পাঁচজন বা তার বেশি ব্যক্তি মিলিতভাবে কোনও জাতি, বর্ণ বা সম্প্রদায় কিংবা লিঙ্গ, ভাষা বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ভিত্তিতে খুন করে, তাদের মৃত্য়ুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সাজার মতো সাজা দেওয়া হবে। এই অপরাধে সর্বনিম্ন সাজা সাত বছর হবে। অপরাধ কতটা গুরুতর, তার উপর ভিত্তি করে সাজা স্থির করা হবে।”
পাশাপাশি গণধর্ষণের ক্ষেত্রেও ২০ বছর অবধি জেল বা যাবজ্জীবন সাজার বিধান আনা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নাবালিকার ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিধান আনা হবে বলে জানান তিনি। নতুন বিলে মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধকে সবথেকে বেশি প্রাধান্য় দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।