নয়া দিল্লি: তবে কি দলবদলের তালিকায় পরের বড় নামটা হবে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের (Amarinder Singh)? জল্পনা তুঙ্গে তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার বিকেলেই ক্যাপ্টেন সাক্ষাৎ করেছেন বলে খবর। ৬এ কৃষ্ণ মেনন মার্গে অমিত শাহের (Amit Shah) বাসভবনে এ দিন বিকেল ৬ টা নাগাদ ক্যাপ্টেন গিয়ে দেখা করেন বলে খবর। তিনি বিজেপিতে (BJP) যোগ দিতে পারেন কি না, সেই কানাঘুষোর মধ্যেই এই সাক্ষাৎ আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। ক্যাপ্টেনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছে, “তাঁর কাছে একাধিক পথ খোলা রয়েছে।”
পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ক্যামেরার সামনে। টিম অমরিন্দর আজকের সাক্ষাৎকারকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই আখ্যা দিয়েছে। তবে এই সাক্ষাৎ যে নেহাত সৌজন্যের নয়, সেটা ভালভাবেই টের পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
সূত্র জানাচ্ছে, মঙ্গলবারই এই সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু অমিত শাহ গতকাল অন্যান্য কিছু কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই সময় দিয়ে উঠতে পারেননি। তবে বুধবার সময় পেতেই দেখা করলেন বর্ষীয়ান দুই রাজনীতিক। যা নতুন করে দলবদলের জল্পনা উস্কে দিয়েছে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে।
বুধবারই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিও। এ বার যদি পঞ্জাবের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও কংগ্রেসকে হারাতে হয়, তবে এর থেকে নেতিবাচক বোধহয় কিছুই হবে না হাত শিবিরের জন্য। বৈঠকের পর যদিও অমরিন্দর বলেন, বিতর্কিত ৩ টি কৃষি আইন প্রত্যাহার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
গতকাল অবশ্য দিল্লিতে আসার সময় ক্যাপ্টেনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, কোনওরকম গুজব যেন না ছড়ানো হয়। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে এত জল্পনা ছড়াচ্ছে চারিদিকে, এমন কোনও বৈঠক হচ্ছে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ক্যাপ্টেনকে বলতে শোনা যায়, রাজধানীতে তাঁর নিজস্ব কিছু কাজ আছে এবং সেই কারণেই তাঁর দিল্লি যাত্রা। তবে সেই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিনের আলোর মতো একটা বিষয় সাফ হয়ে গিয়েছে। তা হল- ক্যাপ্টেন আছেন নিজের ছন্দে। তিনি এ বার কোন পথে হাঁটবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি নিজেই। কংগ্রেসের রাশ যে তাঁর উপর থেকে আলগা হয়ে এসেছে, সেটাও বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিক মহলের।
বিগত কয়েক বছর ধরেই অমরিন্দর সিং বনাম নভজ্যোত সিং সিধুর দ্বন্দ্ব চললেও সম্প্রতিই তা চরমে ওঠে। সিধু পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পরই সিধু ঘনিষ্ঠ বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিংকে সরানোর দাবি জানান। চাপের মুখে সম্প্রতি নিজেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং। এভাবে বারংবার অপমান করায় ক্ষোভ উগরেও দেন তিনি। অমরিন্দর সিংয়ের পরবর্তী সময়ে পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে দলিত শিখ নেতা চরণজিৎ সিং চন্নিকে। আর সেই সময় থেকেই কংগ্রেসে থেকে বেশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছেন ক্যাপ্টেন। এ বার নিজের রাজনৈতিক তরী ক্যাপ্টেন কোন কিনারে নিয়ে গিয়ে ঠেকান সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: অবিরাম বর্ষণ থেকে মুক্তি মিলবে শীঘ্রই! অবশেষে সুখবর শোনাল আবহাওয়া দফতর