চণ্ডীগঢ়: মায়ের সঙ্গে গাড়ি করে সবেমাত্র হরিয়ানার (Haryana) পাঁচকুলায় এসেছিলেন। মা-কে নামিয়ে নদীর তীরে গাড়ি পার্কিং করছিলেন মহিলা। হঠাৎ করেই নদীর জল বেড়ে যায় এবং নদীর জল উপচে তীরে এসে টেনে নিয়ে গেল মহিলা সহ গাড়িটি। রবিবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী হয়েছে হরিয়ানার পাঁচকুলার (Panchkula) খাদাক মাঙ্গোলি এলাকা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়দের তৎপরতায় অবশ্য উদ্ধার হয়েছেন ওই মহিলা। তবে নদীর স্রোতের টানে গাড়ির ভেসে যাওয়া এবং দড়ি দিয়ে বেঁধে স্রোতের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গাড়িটি উদ্ধার করার ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার ওই মহিলা নিজেই গাড়ি চালিয়ে মা-কে সঙ্গে নিয়ে পাঁচকুলার খাদাক মাঙ্গোলি এলাকায় আসেন। তাঁর মা সবেমাত্র গাড়ি থেকে নেমেছেন এবং তিনি ঘাঘর নদীর তীরে গাড়িটি পার্কিং করছিলেন। হঠাৎ করেই নদীর জল বেড়ে গিয়ে তীরে উপচে আসে এবং গাড়িটি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তারপর স্থানীয়দের তৎপরতায় কোনক্রমে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি পাঁচকুলার সেক্টর-৬ হাসপাতালে ভর্তি।
দড়ি দিয়ে বেঁধে ক্রেনের মাধ্যমে গাড়িটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে গাড়িটি টেনে তুলতে রীতিমতো হিমশিম খান ৮-১০ জন। সেই ঘটনারই ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
A car was washed away after a river was flooded due to heavy rains in Haryana’s Panchkula on Sunday morning. The driver of the car was rescued and was admitted to a hospital.#Rains #HeavyRains #Haryana #Panchkula pic.twitter.com/KpbWsHl7t7
— Surjeet Singh Phool (@phool_surjeet) June 25, 2023
অন্যদিকে, পাঁচকুলার ২৭ নম্বর সেক্টরের কাছে হেঁটে নদী পেরোতে গিয়ে আটকে পড়েন ৭ ব্যক্তি। তাঁরা যখন নদীতে নেমেছিলেন, তখন জলের স্তর অনেকটাই কম ছিল। হঠাৎ করে নদীতে নদীতে জলের স্তর বেড়ে যায়। ফলে মাঝনদীতে বিপদের মধ্যে পড়ে যান ওই ৭ ব্যক্তি। পরে তাঁদের উদ্ধার করতে নামে পুলিশ ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ সংলগ্ন এলাকায়। ইতিমধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নদীতেও জল বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দু-দিন এরকম বৃষ্টিপাত চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও জম্মুতে বর্ষা প্রবেশ করেছে এবং এটা বর্ষারই বৃষ্টি বলে জানিয়েছেন মৌসম ভবনের অধিকর্তা ড. মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।