দিল্লি: বুধবারও রায় দিল না দিল্লি হাইকোর্ট। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার নির্দেশের পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামিকাল। সেই শুনানির পর রায়দানের সম্ভাবনা। বুধবার বিচারপতি সুধীর কুমার জৈনের বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানিতে আপাতত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। আগামিকাল এই মর্মে ফের শুনানি হওয়ার পর বিচারপতি সুধীর কুমার জৈনের বেঞ্চ রায়দান করতে পারেন।
এ দিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সায়গল হোসেনের আইনজীবী মনু শর্মাকে প্রশ্ন করেন, সায়গলকে যদি দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখে ইডি প্রশ্ন করতে চায় তাহলে সমস্যা কোথায়? শুধু জায়গার পার্থক্যই হবে এতে। বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে মনু শর্মা জানিয়েছেন, এর আগে আসানসোলে জেল হেফাজতে ছিলেন সায়গল। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারত। পরবর্তীতে বিচারপতি ইডি-র আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন আসানসোলে থাকাকালীন কেন সায়গল হোসেনকে জেরা করলেন না ইডির আধিকারিকরা? উত্তরে ইডির আইনজীবী জানান, কোথায় জেরা করা হবে সেই স্থান কখনও অভিযুক্ত নির্ধারণ করতে পারেন না। মামলাটি দিল্লিতে দায়ের হয়েছে, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট থেকে ওনাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকা, নথি ও বেআইনি সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এমনই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তদন্তের গোড়া অবধি পৌঁছতে চাইছে তারা।
এই মর্মে সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করে ইডি। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট তা মঞ্জুরও করে দেয়। তবে থেমে নেই সায়গলও। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সোমবার রাত্রিবেলাই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদেন করেছিলেন সায়গলের আইনজীবী। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টে সায়গলের আবেদন গৃহীত হয়েছে। সেই সময় আদালতে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, জরুরী ভিত্তিতে সায়গলের আবেদন শোনা হোক। সেই জন্যই তড়িঘড়ি বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট সায়গল হোসেনের মামলাটি শুনানি হয়।
যদিও নিজেকে বাঁচাতে আগেভাগেই ক্যাভিয়েট ফাইল করেছেন সায়গল হোসেন। ক্যাভিয়েট অর্থাৎ ইডি যদি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তাহলে সায়গল হোসেনের বক্তব্যও শুনতে হবে শীর্ষ আদালতকে। সেই কারণে সায়গল হোসেন আগাম ক্যাভিয়েট ফাইল করেছেন। এখন দেখার বিষয় আগামিকাল দিল্লি হাইকোর্ট কী রায় দেয়!