নয়াদিল্লি: অবশেষে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। সোমবার দিল্লির বিশেষ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এদিন অনুব্রত-মামলার শুনানি ছিল। অনুব্রতকে যাতে দিল্লি না নিয়ে যেতে হয়, তার জন্য বারবারই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বলকে। তবে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সবপক্ষের সওয়াল জবাব শেষে এদিন অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেও তা তিনি পাননি। আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছে, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আজই দিল্লির পথে ইডি কেষ্টকে নিয়ে রওনা দেবে? জেলের নিয়ম অনুযায়ী বিকেল ৫টায় ‘লাস্ট কাউন্টিং’ হয়। এরপর কাউকে জেল থেকে বের করা যায় না। ফলে আজ সোমবার কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যেতে কষ্ট আছে ইডির। সেক্ষেত্রে আবার কিছুটা সময় পেলে মঙ্গলবারের মধ্যে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দিল্লি যাওয়া আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করবেন অনুব্রত। সেটিও মাথায় রাখবে ইডি বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা।
গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে ইডি। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়ে দিল্লির বিশেষ আদালতে আর্জিও জানায়। তবে ইডির এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। মূলত দু’টি মামলা ছিল, যার একটি গত ১৬ ডিসেম্বরই খারিজ করে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।
অন্যদিকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টেও যান অনুব্রত। তবে দিল্লি হাইকোর্ট তাঁকে পুনরায় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতেই পাঠায়। শনিবার সেই আদালতেই ছিল অনুব্রত-মামলার রায়দান। গত শনিবারও এই মামলার শুনানি ছিল। সেই রায়দান রিজার্ভ করা হয়।
আদালতের এই নির্দেশের পর একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর আগে একইভাবে অনুব্রতর সর্বক্ষণের সঙ্গী সেহেগল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। সেখানে তাঁকে জেরার পর পাঠানো হয় তিহাড় জেলে। এনামুল হকেরও ঠাঁই হয় তিহাড়ে। এবার প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রতকে দিল্লি যেতে হলে তাঁরও কি জায়গা হবে তিহাড়ে?