নয়া দিল্লি: সোমবার সকাল সকাল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লালু পত্নী রাবড়ি দেবীর বাড়িতে হাজির হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জমির বদলে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর আজ সকালেই লালু যাদবের মেয়ে মিসা ভারতীর দিল্লির বাসভবনে পৌঁছে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আজ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে জেরা করতেই মিসার বাসভবনে সিবিআই উপস্থিত বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল সাত সকালেই পটনায় রাবড়ি দেবীর বাড়িতে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা। বাইরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় তাঁর বাড়ির চারপাশ। আর বাড়ির ভিতরে লালু পত্নীকে ৪ ঘণ্টা ধরে জেরা করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রাবড়ি দেবীর বিবৃতি রেকর্ড করা হবে। এটা কোনও তল্লাশি অভিযান নয় বলেও স্পষ্ট করেছে সিবিআই। এদিকে রবিবার বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে একজোট হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখে। ঠিক তার পরের দিনই বিহারের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই যাওয়ার খবর সামনে আসে।
গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই রাবড়ি দেবীর বাসভবনের বাইরে কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে ধর্না দেন আরজেডি সমর্থকরা। এদিকে লালুর ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বলেছেন, এই ধরনের জিনিস ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে রাবড়ি দেবী বলেন, “এটা তাঁদের (সিবিআই) কাজ। তাঁরা সেটি করেছেন এবং চলে গিয়েছেন…তাঁরা আমাদের হাজার বার বিরক্ত করবেন কিন্তু আমরা ঝুঁকব না।”
প্রসঙ্গত, জমির বদলে রেলে চাকরির পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল লালু প্রসাদের পরিবারের বিরুদ্ধে। ইউপিএ ১ সরকারের আমলে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সিবিআই-র অভিযোগ সেই সময় লালুপ্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের কন্যা মিসা যাদব এবং হেমা যাদব, রেলে চাকরির বিনিময়ে কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে জমি নিয়েছিলেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই এই কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত একটি প্রাথমিক তদন্ত নথিভুক্ত করেছিল সিবিআই। গত বছরের ১৮ মে এই বিষয়ে একটি এফআইআরও দায়ের করা হয়েছিল। গত বছরেই জমি-চাকরি দুর্নীতিতে লালু যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল সিবিআই। এবার সেই দুর্নীতি মামলায় রাবড়ি দেবীর পর তাঁর মেয়ে মিসা ভারতীর বাড়িতে সিবিআই।