মাঝরাতে পঞ্জাব-হরিয়ানার ৪৫টি গুদামে হানা সিবিআইয়ের, তদন্ত ঘিরে প্রশ্ন

বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্জাব ও হরিয়ানার মোট ৪৫টি গুদামে হানা দিল সিবিআই। এরমধ্যে ৩৫টি গুদামই পঞ্জাবে অবস্থিত, বাকিগুলি হরিয়ানায় অবস্থিত।

মাঝরাতে পঞ্জাব-হরিয়ানার ৪৫টি গুদামে হানা সিবিআইয়ের, তদন্ত ঘিরে প্রশ্ন
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 29, 2021 | 1:18 PM

চণ্ডীগঢ়: কৃষক আন্দোলন চলাকালীনই পঞ্জাব (Punjab) ও হরিয়ানা (Haryana)-র বিভিন্ন গুদামে হানা দিল সিবিআই (CBI)। সেখান থেকে তাঁরা মজুত করে রাখা ধান ও গম আটক করে করেছে বলেই জানা গিয়েছে। তদন্তে যাতে কেউ বাধা সৃষ্টি না করতে পারে, সেই কারণে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে প্যারামিলিটারি বাহিনী (Paramilitary Force)-ও উপস্থিত রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলে (Tractor Rally) বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগে ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের সীমান্ত ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্জাব ও হরিয়ানার মোট ৪৫টি গুদামে হানা দিল সিবিআই। এরমধ্যে ৩৫টি গুদামই পঞ্জাবে অবস্থিত, বাকিগুলি হরিয়ানায় অবস্থিত। মূলত ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে উৎপাদিত শস্য এখনও মজুত করে রাখা হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখতেই অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

যে গুদামগুলিতে সিবিআই হানা দিয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম হল পঞ্জাব গ্রেইন প্রোকিওরমেন্ট কর্পোরেশন (Punjab Grains Procurement Corporation), পঞ্জাব ওয়ারহাউসিং (Punjab Warehousing)। এছাড়াও ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া(Food Corporation of India)-র কয়েকটি গুদামেও সিবিআই আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, মজুতদাররা একদিকে উত্তর প্রদেশ ও বিহার থেকে ধান যোগাড় করে তা কেন্দ্রে পাঠানো হত। একইসঙ্গে খোলা বাজারে উন্নত মানের খাদ্যশস্য বিক্রিও করা হত। বেআইনিভাবে শস্য মজুত করা ও লাগাতার নিম্নমানের চাল বিক্রির চক্রে ফুড কর্পোরেশনের আধিকারিকরাও যুক্ত রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: ট্রাক্টর মিছিল ঘিরে ‘ভুয়ো প্রচার’, দেশদ্রোহিতার অভিযোগ শশী থারুর সহ ৭জনের বিরুদ্ধে

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পিযুষ গোয়েল (Piyush Goyal) জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের তরফে শীঘ্রই কেনা শস্যের গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। কয়েক বছর আগেও সিবিআইয়ের তরফে একইধরনের অভিযান চালানো হয়েছিল দেশজুড়ে।

যদিও কৃষকদের একাংশের অভিযোগ, কৃষি আইন প্রত্যাহারের আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে কেন্দ্রের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পরই কৃষক ও তাদের সমর্থনকারীদের “শায়েস্তা” করতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সূত্র অনুযায়ী, অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমেছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের পর ‘নোভাভ্যাক্স’, নয়া টিকার ট্রায়ালের জন্য অনুমতি চাইল সিরাম ইন্সটিটিউট