নয়া দিল্লি: আবার কংগ্রেস শিবিরের অস্বস্তি বাড়াল সিবিআই হানা। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) ভাই আগ্রাসেন গেহলটের বাড়িতে তল্লাশি চালানো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার দুর্নীতির নতুন মামলার অশোকের ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগ্রাসেন গেহলটের বাণিজ্যিক অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালাতেই নতুন করে রাজনৈতিক চাপান-উতর শুরু হয়েছে। কীটনাশক রফতানি মামলায় আগে থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি স্ক্যানারে ছিলেন আগ্রাসেন। অশোকের ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে বেআইনিভাবে বিপুল পরিমাণ কীটনাশক রফতানি করা হয়েছিল। এই কীটনাশক মামলায় সরফ ইমপেক্স এবং অন্যান্য সংস্থার বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। মুখ্যমন্ত্রী আগ্রাসেন গেহলট অনুপম কৃষি নামক একটি সংস্থার মালিক। আগ্রাসেনের সংস্থা সরফ ইমপেক্সের মাধ্যমে পটাশ রফতানি করেছে। যে কীটনাশক রফতানি করা হয়েছিল, তা রাজস্থানের কৃষকদের জন্যই ছিল।
প্রত্যাশিতভাবে সিবিআই হানা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই সিবিআই হানাকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলেছে। টুইটে জয়রাম রমেশ বলেন, “এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। বিগত ৩ দিন ধরে দিল্লির বিক্ষোভে প্রথম সারিতে ছিলেন অশোক গেহলট, সেই কারণে প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হয়েছে মোদী সরকার। আমরা চুপ করে থাকব না।” প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ডের বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলায় দিল্লির সদর দফতরে কংগ্রেস শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধীকে জেরা করেছে ইডি। রাহুলের জেরা ঘিরে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। দিল্লিতে মিছিল করে ইডি সদর দফতরের পৌঁছেছিলেন ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ। তিন দিন ধরে দীর্ঘ সময় জেরার করার পরেও রাহুলকে আবার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, কিন্তু রাহুল ইডির কাছে কিছুদিন সময় চেয়েছেন। অশোক গেহলটের মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতার ভাইয়ের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি ঘিরে কংগ্রেসে অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।