নয়া দিল্লি: সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে চলছে বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল সমকামী বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া যায় না। এই ধরনের বিবাহ ভারতের প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় শুনানি চলাকালীন ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার ধারণা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গের ওপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ হয় না। এবার সেই বিতর্কে মতামত দিল দেশের ৭টি রাজ্য। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলোচনার কথা আগেই বলেছিল কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ৭ টি রাজ্য কেন্দ্রের চিঠির জবাব দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস কে কৌল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি পিএস নরসিমহার সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে হচ্ছে এই শুনানি। বুধবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতে জানান, গত ১৮ এপ্রিল চিঠি দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। মাত্র ৭টি রাজ্য সেই চিঠির জবাব দিয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, মণিপুর, অন্ধ্র প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অসম, সিকিম ও রাজস্থান চিঠির উত্তর দিয়েছে। এর মধ্যে কেবলমাত্র রাজস্থান জানিয়েছে যে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে ও এই বিষয়ের বিরোধিতা করছে। সলিসিটর জেনারেলের দাবি, বাকি সবকটি রাজ্যই জানিয়েছে, এই ইস্যুতে গভীর আলোচনা প্রয়োজন, তারপরই মতামত জানানো সম্ভব।
কেন্দ্র আগেই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি মতামত না নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিয়ে বা বিচ্ছেদের মতো বিষয়গুলি সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্য়গুলিরও বিষয় বলেও উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
মঙ্গলবারই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, “সংবিধানের অধীনে বিবাহ বিষমকামীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ?” এপ্রসঙ্গে বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট বলেন, “যে মুহূর্তে আপনি ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ নিয়ে আসবেন, তখন দেখা যাবে সংবিধান নিজেই একটি ঐতিহ্য ভঙ্গকারী। কারণ আপনি প্রথমবার ১৪, ১৫ এবং ১৭ অনুচ্ছেদগুলি তুলে ধরেছেন, এগুলি নিজেই ঐতিহ্য ভেঙেছে।”