Medicine Price: সরকারের বড় সিদ্ধান্ত, বিরল রোগের ওষুধ নিয়ে আর চিন্তা নেই
Medicine Price: ধরা যাক রোগটা হল, স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি। জিনের সমস্যার কারণে যে রোগে মেরুদণ্ড তার শক্তি হারায়। দুনিয়ায় একমাত্র 'নোভার্টিস' এই রোগের ওষুধ তৈরি করে। পুরো কোর্সের খরচ ১৭ কোটি টাকা। গত বছর দিল্লি হাইকোর্টে এইসব নিয়ে একাধিক মামলা হয়।
নয়া দিল্লি: ওষুধের দাম জোগাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যায় সাধারণ মানুষের। তার মধ্যে বিরল রোগের ওষুধের দাম দিতে দিতে মাথায় হাত পড়ে। এবার সেই সমস্যার সমাধান করতে সচেষ্ট হল সরকার। ‘রেয়ার ডিজিজ’ বা বিরল রোগের ওষুধ এবার থেকে সরকার নিজেই কিনে রাখবে। দরকার মতো তা রোগীদের দেওয়া হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রায় ৭ হাজার রোগকে বিরল রোগ বলে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ রোগের ওষুধ আছে। সাধারণভাবে প্রতি হাজার জন মানুষের মধ্যে ১ জন যে রোগে আক্রান্ত হন, তাকে বিরল রোগ বলা হয়। যে কোনও বড় দেশে জনসংখ্যার ৬ থেকে ৮ শতাংশ মানুষ এইসব রোগের শিকার হয়ে থাকেন। ভারতে সংখ্যাটা প্রায় ১০ কোটি। এক তো অধিকাংশ বিরল রোগের চিকিত্সা নেই। আর দ্বিতীয় হল, যে সব রোগের ওষুধ আছে, সেসব ওষুধের দাম সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বাড়ি-গাড়ি থেকে ঘটি-বাটি সব বিক্রি করে দিলেও ওষুধের দাম জোগাড় হবে না।
এসব ক্ষেত্রে উপায় একটাই, ‘ক্রাউডফান্ডিং’। লোকে সাহায্য করলে ভাল, না হলে মৃত্যুর অপেক্ষা। ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার National Policy for Rare Diseases-এর কথা ঘোষণা করে। সেখানে রোগীকে এককালীন ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। পরে, তা বাড়িয়ে ৫০ লক্ষ করা হয়। ওষুধ রোগীর বাড়ির লোককেই বাজার থেকে কিনতে হত। কিন্তু, এই টাকায় কিছুই হচ্ছিল না।
ধরা যাক রোগটা হল, স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি। জিনের সমস্যার কারণে যে রোগে মেরুদণ্ড তার শক্তি হারায়। দুনিয়ায় একমাত্র ‘নোভার্টিস’ এই রোগের ওষুধ তৈরি করে। পুরো কোর্সের খরচ ১৭ কোটি টাকা। গত বছর দিল্লি হাইকোর্টে এইসব নিয়ে একাধিক মামলা হয়। সেখানে বলা হয় যে আদালত সরকারকে নির্দেশ দিক, সরকার যেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে কম দামে বিরল রোগের ওষুধের ব্যবস্থা করে। আইসিএমআর (Indian Council of Medical research)-এর ডিরেক্টরকে মাথায় রেখে আদালত একটা কমিটি তৈরি করে দেয়। সেই কমিটির রিপোর্টই এবার হাইকোর্টে জমা পড়তে চলেছে।
ঠিক হয়েছে বিরল রোগের ওষুধের জন্য বছরে ৯০০ কোটি টাকার একটা সরকারি ফান্ড থাকবে। এই টাকায় সরকার নিজেই বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ কিনবে এবং তা রোগীদের দেওয়া হবে। কিছু বিরল রোগের ওষুধ যাতে ভারতেই তৈরি করা যায়, সে জন্য গবেষণার কাজেও এই ফান্ড থেকে টাকা দেওয়া হবে। আপাতত ১৩টি বিরল জিনঘটিত রোগকে চিহ্নিত করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। এইসব রোগের ওষুধ বাল্ক পারচেজে কম দামে পেতে অ্যাসট্রাজেনেকা (AstraZeneca), নোভার্টিস (Novartis), রশ (Roche)-র মতো বিদেশি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে সরকার।