নয়া দিল্লি: দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়ছে, তখনও কেন্দ্রের উন্নয়নের গতিরথ থেমে নেই। তবে তা সাধারণের জন্য নয়, নেতা-মন্ত্রীদের জন্য। করোনা মহামারী ও দিল্লিতে লকডাউনের মাঝেও কেন্দ্রের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ চলছে। এই নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা শুরু হতেই রাস্তা জুড়ে টাঙানো হল নতুন সাইনবোর্ড, যেখানে স্পষ্ট করে লেখা, “ছবি তোলা ও ভিডিয়ো করা নিষিদ্ধ।”
কেন্দ্রের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের প্রথম কাজ হল আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন তৈরি করতে হবে। একই সময়ের মধ্যে তৈরি করতে হবে বিশেষ নিরাপত্তা দলের হেডকোয়ার্টারও। মূলত প্রধানমন্ত্রীকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই বাসভবনের সঙ্গে সঙ্গে এই ভবন নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তির আগেই অর্থাৎ অগস্ট মাসের আগেই সম্পূর্ণ প্রকল্প শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও এই প্রকল্পের বিরোধিতা বারংবার করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও টুইট করে বলেছিলেন, “সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প হল অপরাধমূলক অপচয়। সরকারের উচিত ঔদ্ধত্ব্যকে সরিয়ে রেখে সাধারণ মানুষের জীবনের দিকে নজর দেওয়া।”
সোশ্যাাল মাধ্যমেও এই নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠার পরই সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের তরফে ইন্ডিয়া গেটের কাছে যেখানে নির্মাণকাজ চলছে, সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে “ছবি তোলা নিষিদ্ধ” এবং “ভিডিয়ো করাও নিষিদ্ধ”। এই বিষয়ে সিপিডব্লুডি-র আধিকারিকদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা কোনও জবাব দেননি।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের সমালোচনার জবাব দিতে উড়ানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী দাবি করেন যে, ক্ষমতায় থাকাকালীন ইউপিএ সরকারও এই প্রকল্পে সমর্থন জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ২০ মে-র মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরেকে দেড় কোটি কোভিশিল্ড সরবরাহের প্রতিশ্রুতি সেরাম কর্তার