নয়া দিল্লি: কী কারণে দেশে উঠল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, তার উত্তর খুঁজতে বিভিন্ন রাজ্য পরিদর্শনে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় দল। তাঁদের রিপোর্টেই উঠে এল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তিন রাজ্যের ব্যর্থতা। কেন্দ্রীয় দলের মতে, মহারাষ্ট্র(Maharashtra), ছত্তীসগঢ়(Chhattisgarh) ও পঞ্জাবে(Punjab) সম্প্রতি যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার জন্য নিজেদের গাফিলতিই দায়ী।
কেন্দ্রের তরফে পাঠানো দলগুলি মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব ও ছত্তীসগঢ়ের মোট ৫০টি জেলায় করোনা পরিকাঠামো যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। সেই দল পরিদর্শনের পর জানায়, মূলত কম সংখ্যক আরটি-পিসিআর পরীক্ষা(RT-PCR Test), করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাটতিই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
মহারাষ্ট্র, যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কন্টেনমেন্ট জো়ন (Containment Zone) ঘোষণা করার কাজ খুবই অল্প হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় দল। সাতারা, সাঙ্গলি ও ঔরঙ্গাবাদে সক্রিয় নজরদারি চলছে না। একইসঙ্গে রাজ্যে করোনা পরীক্ষার হার কম ও দেরীতে রিপোর্ট আসায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
পঞ্জাবে নয়টি জেলায় করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় দল জানায়, সেখানেও কম সংখ্যক পরীক্ষা, হাসপাতাল সহ নির্দিষ্ট করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাবেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে পাটিয়ালা ও লুধিয়ানায় অত্যন্ত ধীর গতিতে করোনা টিকাকরণের বিষয়টিও উল্লেখ করেন তাঁরা।
ছত্তীসগঢ়ে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা না করার গাফিলতিকেই বিশেষভাবে তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় দল। একইসঙ্গে তাঁরা জানান, রাজ্যের বহু জায়গাতেই করোনা পরীক্ষার জন্য গেলে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ধানেলি, রায়পুর সহ একাধিক জায়গায় কন্টেনমেন্ট জো়ন ঘোষণায় বাধা দেওয়া হয়েছে, এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
এ দিকে, কেন্দ্রীয় দলের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে উল্লেখিত রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ফল বেরতেই রাজ্য জুড়ে ধুন্ধুমার, অশান্তি রুখতে একাধিক জেলায় জারি ১৪৪ ধারা