নয়া দিল্লি : জ্বর জ্বর মনে হচ্ছে? গলা ব্যাথা করছে? দেরি না করে এখনই কোভিড টেস্ট করান। এমনটাই বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নাগরিকদের কারও জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, শরীরে ব্যথার অনুভূতি, স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া, ক্লান্তি এবং ডায়রিয়া – এই সব উপসর্গ যদি দেখা যায়, তবে তাদের কোভিডের সন্দেহভাজন রোগী হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা উচিত। দেশজুড়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্য়েই শুক্রবার রাজ্যগুলিকে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, “এই জাতীয় সমস্ত ব্যক্তিদের (যাঁরা উপরোক্ত উপসর্গগুলি অনুভব করছেন) অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করা উচিত। পরীক্ষার রিপোর্ট যতক্ষণ পর্যন্ত না আসছে, ততক্ষণ অবিলম্বে নিজেদের হোম আইসোলেশনে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া উচিত।”
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকার জেরে মাথায় চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ শুক্রবার ফের চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। চিঠিতে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট (RAT) বাড়াতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। কারণ, আরটিপিসিআর পরীক্ষার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত কিনা, তা নিশ্চিত করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আনুমানিক প্রায় পাঁচ ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে এর জন্য।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো চিঠিতে, রাজেশ ভূষণ দিনে সর্বক্ষণ খোলা থাকবে, এমন বেশ কিছু ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের বুথ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলা হাসপাতাল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সহ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এর পাশাপাশি করোনার সেল্ফ টেস্ট কিট ব্যবহারের উপর আরও জোর দেওয়ার কথা বলেছেন রাজেশ ভূষণ। এই সেল্ফ টেস্ট কিট বা হোম টেস্ট কিটের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বাড়ি বসে নিজেই জেনে নিতে পারেন, তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না। রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব লিখেছেন, “যাঁরা শরীরে কোনওরকম উপসর্গ অনুভব করতে পারছেন, সেই ব্যক্তিদের জন্য সেল্ফ টেস্ট বা হোম টেস্ট কিটের ব্যবহারের জন্য আরও উৎসাহিত করা যেতে পারে। এই ধরনের সাতটি হোম টেস্টিং কিট এখনও পর্যন্ত অনুমোদিত হয়েছে ভারতে। তাদের মধ্যে দুটি জিইএম পোর্টালেও পাওয়া যাচ্ছে।” এর পাশাপাশি সমস্ত আরটিপিসিআর এবং ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট আইসিএমআর পোর্টালে আপলোড করার কথাও বলেছেন রাজেশ ভূষণ।