নয়া দিল্লি: বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতকে দোষারোপ। এবার মুখ খুলল ভারত সরকারও। ত্রিপুরার বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়নি, সাফ জানাল বিদেশ মন্ত্রক। সরকারের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ত্রিপুরার গোমতী নদীর উপরে তৈরি দুম্বুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা হয়েছে, এই তথ্য সঠিক নয়।
সম্প্রতিই বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সিলেট, কুমিল্লা, ফেণী, লক্ষ্মীপুর সহ পূর্ব সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলি প্লাবিত হয়েছে। ওই বন্যা নিয়েই বিভিন্ন বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ তোলা হয় যে ভারতের দুম্বুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণেই এই বন্যা হয়েছে। এই তত্ত্ব খারিজ করে দিল ভারত সরকার।
এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, “বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে ত্রিপুরার গোমতী নদীতে দুম্বুর বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা হয়েছে। এটা সঠিক তথ্য নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হয়েছে। মূলত বাঁধের নীচে দিকে জলের প্রবাহের কারণেই বাংলাদেশে এই বন্যা হয়েছে।”
Will ask my @tisftipra and @YTFTIPRA to identify how many students are studying in tripura and rest of Northeast for now . Tipra motha will kick out every single Bangladeshi from our region and state if these provocations continue from their end . https://t.co/z0anRALCZB
— Pradyot_Tripura (@PradyotManikya) August 22, 2024
কেন্দ্রের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যে দুম্বুর বাঁধ-কে বন্যার কারণ বলে দোষারোপ করা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বাঁধ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশও ত্রিপুরার এই বাঁধ থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পায়।
১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ গোমতী নদীতে জলস্তর পর্যবেক্ষণের জন্য তিনটি কেন্দ্র রয়েছে আমারপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া ২-তে। এর মধ্যে আমারপুর স্টেশন দ্বিপাক্ষিক প্রোটোকলের অধীনে পড়ে। ভারত সরকারের তরফে বন্যা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য় বাংলাদেশকে জানানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্র জানিয়েছে, গত ২১ অগস্ট থেকেই সমগ্র ত্রিপুরা জুড়ে ও সংলগ্ন বাংলাদেশের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি হলে স্বাভাবিকভাবেই বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়। নদীর জলস্তর বাড়তেই ২১ অগস্ট দুপুর ৩টে নাগাদ বাংলাদেশ সরকারকে সেই তথ্য জানানো হয়। সন্ধে ৬টা নাগাদ বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যার ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কঠিন হয়ে যায়। তারপরও ভারত সরকার অন্য পথে বাংলাদেশকে বন্যা ও জলস্তর বৃদ্ধি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানায়।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে ৫৪টি নদী। এই নদীগুলিতে বন্যা দুই দেশেরই সমস্যা এবং দুই দেশের মিলিত সহযোগিতাতেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)