নয়া দিল্লি: মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা সর্বভারতীয় জয়েন্ট, নেট, সেট-এর মতো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছেলে-মেয়েদের কোচিং সেন্টারে পাঠায় অভিভাবকেরা। কিন্তু, অনেক পড়ুয়া কোচিংয়ের অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরে নিজের জীবনই শেষ করে দেয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিখ্যাত রাজস্থানের কোটায় ইদানিংকালে হামেশাই ছাত্র-ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর শোনা যায়। আবার সাম্প্রতিককালে অনেক বিখ্য়াত কোটিং সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শিরোনামে এসেছিল। এছাড়া অনেক কোচিং সেন্টারে অতিরিক্ত ফি চার্জের খবরও শোনা যায়। এই পরিস্থিতিতে কোচিং সেন্টারগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। কোচিং সেন্টারে ভর্তির জন্য ছাত্র-ছাত্রীর বয়সও বেঁধে দিল কেন্দ্র।
কোচিং সেন্টারগুলির জন্য কেন্দ্রের নির্দেশিকা
১) স্নাতক না হলে কোনও কোচিং সেন্টারের শিক্ষকতা করা যাবে না। শিক্ষকদের মান উন্নত হতে হবে।
২) ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি করার জন্য বিভ্রান্তিকর প্রতিশ্রুতি বা র্যাঙ্ক করানো বা ভালো নম্বরের নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না।
৩) ১৬ বছরের কম বয়সি পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি করা চলবে না। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরই পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি নেওয়া যাবে।
৪) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোচিংয়ের মান, প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বা কোচিং সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাপ্ত ফলাফল সম্পর্কিত কোনও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না।
৫) ছাত্র-ছাত্রীদের মন ভাল রাখতে কোচিং সেন্টারগুলিকে কেরিয়ার গাইডেন্স দিতে হবে এবং কাউন্সিলিং করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬) প্রতিটি কোচিং সেন্টারে ফাস্ট-এড ও চিকিৎসা পরিষেবা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা, স্বচ্ছ পানীয় জল এবং নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখতে হবে।
স্কুলের সঙ্গে কোচিংয়ের সময় যাতে আলাদা হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। এছাড়া প্রতিদিন কোচিংয়ের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা, সাপ্তাহিক ছুটি রাখা, পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে সহ-পাঠ্যক্রমের ব্যবস্থা করার কথাও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। কোচিং সেন্টারের সমস্ত ব্যবস্থার কথা ওয়েবসাইটে উল্লেখ করতে হবে। কোনও কোচিং সেন্টার সরকারি এই নির্দেশিকা না মানলে সেই কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও উল্লেখ করা কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।