নয়াদিল্লি : খনি ও খনিজ সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। খনির লাইসেন্স দেওয়া, লিজ় দেওয়া এবং খনিজ সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়াতে এর আগেই খনি ও খনিজ সম্পদ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী আইন, ২০১৫ নিয়ে এসেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। চলতি বছরের মার্চে সেই সংশোধনী আইনকে আরও বেশি সরলীকরণ করা হয়েছে। খনি ও খনিজ পদার্থ আইন সংশোধনের মাধ্যমে মোদী সরকারের আত্মনির্ভর ভারত গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হওয়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়েছে।
জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তরফে সম্প্রতি ১০০ টি সম্ভাবনাময় খনিকে চিহ্নিত করা হয়েছে নিলামের জন্য। আজ রাজ্যগুলির হাতে এই ১০০ টি খনির বিষয়ে যাবতীয় তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তুলে দেয় জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় খনি, কয়লা ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং তাঁর মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাওসাহেব পাটিল দানভে।
কেন্দ্রের দ্বারা চিহ্নিত করা এই ১০০ টি খনির নিলাম হলে একদিকে যেমন দেশের খনিজ সম্পদের নিরন্তর যোগান চালু রাখা যাবে, তেমনই এই খনিগুলি নিলামের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, এই খনিগুলির নিলাম হলে, রাজ্যগুলিতে শিল্পের সুযোগও তৈরি হবে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাভের মুখ দেখতে পারে, এমন খনিজ সম্পদ খোঁজ চালানোর প্রবণতা অনেকটা কমেছে বিশ্বে। একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত হওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট দেশে সেভাবে কোনও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না বিষয়গুলি। সারা বিশ্বে এই ধরনের এক প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র এই প্রচলিত ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে, নতুন করে ভাবার পথ দেখাচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে বেসরকারিকরণে। বেসরকারি বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, আজ রাজ্যগুলির হাতে যে এই নিলাম সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেওয়া হলে খনি থেকে শুরু করে শিল্প এবং কর্মসংস্থান… একাধিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির উন্নয়নের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার যে খনি ও খনিজ সম্পদ (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী আইন নিয়ে এসেছে, তাতে খনিজ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে বলেই অনুমান করেছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। পাশাপাশি, রাজ্যগুলির রাজস্ব বৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট সময়সীমায় খনি থেকে উত্তোলন… বিভিন্ন বিষয়ে লাভবান হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের কাছে তৈল খনির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এই তৈল খনির থেকে আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক বৃদ্ধিতে আরও গতি আসবে বলেই মনে করছেন অনেকে। আজ কেন্দ্রীয় খনিজ সম্পদ মন্ত্রক যে নিলামের ব্যবস্থা করেছে, তাতেও আগামীদিনে একাধিক রাজ্যে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে’, বিপদ এড়াতে উৎসবের মরশুমে বাড়িতেই থাকার অনুরোধ মেয়রের