নয়া দিল্লি: ওলা, উবের থেকে শুরু র্যাপিডো কিংবা ইন-ড্রাইভার… রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে এই অ্যাপগুলি ব্যবহারে অনেকেই অভ্যস্ত। চটজলদি গন্তব্যে পৌঁছতে কিংবা বাড়ি ফিরতে বাইক-ট্যাক্সিই আজকাল বেশি পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু এই বাইক ট্যাক্সির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও নিয়ম ছিল না। রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে আঞ্চলিক স্তরে সিদ্ধান্ত নিত বাইক-টাক্সি রাস্তায় নামার বিষয়ে। তবে এবার সেই সমস্যা অনেকটাই দূর করল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সম্প্রতি সড় পরিবহণ মন্ত্রক থেকে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য জারি করা হয়েছে একটি অ্যাডভাইজরি। সেই গাইডলাইনে অনেকটা স্বস্তিতে বাইক-ট্যাক্সি পরিচালনাকারী অ্যাপগুলি।
কী বলা হয়েছে কেন্দ্রের ওই অ্যাডভাইজরিতে? কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক থেকে গত ২২ জানুয়ারি ইস্যু করা ওই গাইডলাইনে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বাইক-ট্যাক্সি নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, মোটর ভেইকলস অ্য়াক্ট, ১৯৮৮-র ২(৭) ধারা অনুযায়ী ভাড়ার গাড়ির (কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ) সংজ্ঞার মধ্যে মোটর সাইকেলও পড়ে। অ্যাডভাইজরিতে কেন্দ্রের তরফে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, মোটর সাইকেলগুলিকে মোটর ভেইকলস অ্য়াক্টের বিধি অনুযায়ী ভাড়ার গাড়ি হিসেবে ব্যবহারের পারমিট দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, বাইক ট্যাক্সি কোন রাজ্যে চলবে, কোন রাজ্যে চলবে না, তা নিয়ে এক বিস্তর ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল আমজনতার মনে। যেমন গোয়া, তেলঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ বা রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে বাইক ট্যাক্সির পারমিট রয়েছে। কিন্তু আবার দিল্লিতে কিংবা মহারাষ্ট্রে বাইক ট্যাক্সি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল।
এক এক রাজ্যে এক এক রকমের নিয়ম রয়েছে। যেমন কর্নাটকে যদি যান, সেখানে সাদা নম্বর প্লেটের পেট্রোল চালিত মোটর সাইকেলকে বাইক ট্যাক্সি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। তবে সেখানে বৈদ্যুতিন বাইক ট্যাক্সি সংক্রান্ত নিজস্ব পলিসি রয়েছে। আবার যদি গোয়ায় যান, সেখানে হলুদ নম্বর প্লেট ব্যবহার করে বাইক ট্যাক্সি চালানোর অনুমতি রয়েছে।