নয়া দিল্লি: দেশের ভবিষ্যত যাদের হাতে, তাদের পরীক্ষাতেই জালিয়াতি! নিট (NEET) ও ইউজিসি-নেট (UGC-NET Exam) পরীক্ষা নিয়ে উঠেছে বিস্তর দুর্নীতি, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। নিট পরীক্ষা বাতিল না হলেও, নেট বাতিল হয়েছে। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সিএসআইআর-ইউজিসি-নেট পরীক্ষাও। এই পরিস্থিতির মাঝেই বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। প্রশ্নপত্র ফাঁস ও পরীক্ষায় নকল করা রুখতে আনা হল কঠোর আইন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই এই আইন পাশ হলেও, শুক্রবার নিট-নেট বিতর্কের মাঝে কেন্দ্রের তরফে এই আইনের নির্দেশিকা জারি করে। পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অব আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪ কার্যকর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিট দুর্নীতি ও নেট পরীক্ষা বাতিল প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে দিন দুয়েক আগে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে এই আইন কবে আনা হবে। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, আইন মন্ত্রক এই আইনের নিয়ম তৈরি করছে। বিতর্ক বাড়তেই দুদিনের মধ্যে সেই আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল।
কেন্দ্রের আনা নতুন আইনে বলা হয়েছে যদি কোনও এক বা একাধিক ব্যক্তি প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে তার ন্যূনতম ৩ বছরের জেলের সাজা হবে। সর্বাধিক ৫ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও হতে পারে। যদি কেউ উত্তরপত্রেও কোনওরকম পরিবর্তন করে, সেক্ষেত্রেও একই সাজা দেওয়া হবে। জামিন অযোগ্য ধারায় এই মামলা দায়ের করা হবে।
যদি কোনও নিয়ামক সংস্থা বা পরীক্ষা আয়োজক সংস্থা পরীক্ষায় নকল বা কোনও রকম জালিয়াতি সম্পর্কে জানেন, কিন্তু রিপোর্ট না করেন, তবে তাদের ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
তদন্তের সময় যদি কোনও আধিকারিককে অপরাধে যুক্ত পাওয়া যায়, তবে তাদের ন্যূনতম ৩ বছরের জেল হতে পারে। সর্বাধিক ১০ বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
যদি পরীক্ষা আয়োজক সংস্থাই অপরাধে যুক্ত থাকে, তবে ন্যূনতম ৫ বছর ও সর্বাধিক ১০ বছর জেল হতে পারে। ১ কোটি টাকা জরিমানাও করা হতে পারে।
ভারতীয় ন্যয় সংহিতার উল্লেখ থাকলেও, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারাগুলি কার্যকর থাকবে বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকেই এই আইন কার্যকর হবে।